শনিবার, মে ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিআওয়ামী লীগকে একটি কুলাঙ্গার পার্টি হিসেবে মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান

আওয়ামী লীগকে একটি কুলাঙ্গার পার্টি হিসেবে মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান

মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্যের পর এবার আওয়ামী লীগকে একটি কুলাঙ্গার পার্টি হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পূর্ব লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে ‘স্ট্রেটেজি ফর প্রসপরাস বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. এম এ মালেক। অনুষ্ঠান ব্যানারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাংবাদিক সিরাজুর রহমানের নাম লেখা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।সমাবেশে ৭৫’র ১৫ই আগস্ট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ঘটনা তার নিজের মত করে বর্ণনা করে তারেক প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, এ ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা ও তৎকালীন জাসদ জড়িত। ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা রাশেদ খান মেমনকেও জড়িতদের বাইরে রাখেননি তারেক।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা খন্দকার মোশতাককে কুলাঙ্গার বলে মন্তব্য করেন, কিন্তু ১৫ আগস্টের পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে এটিই প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগ টোটালী একটি কুলাঙ্গার দল। শেখ হাসিনা যেহেতু এই দলের নেত্রী, সেহেতু সে নিজেও ওই পরিচিতির বাইরে নেই।

বক্তব্যের পুরো সময়ই বর্তমান সরকারকে অবৈধ সরকার বলেই আখ্যায়িত করেন তারেক। তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে শেখ হাসিনা আজ তার পিতার হত্যা ও এই হত্যার প্লট তৈরির সঙ্গে জড়িতদের আশে পাশে নিয়ে রাজনীতি করছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্লট তৈরিতে কর্নেল তাহের ও জাসদ জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তারেক। তিনি বলেন, ওই ঘটনার সময় বিএনপি’র জন্মও হয়নি।

তারেক আরো বলেন, শেখ মুজিবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন ঠেকাতে যে ইনু তার বাহিনীকে রণসাজে সজ্জিত করেছিলো, সেই ইনু আজ শেখ হাসিনার মন্ত্রী। ইনু বাহিনীকে মোকাবেলা করতে শেখ মুজিব ওই সময় কাদের সিদ্দীকিকে ট্যাংক নামানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও তথ্য দেন তারেক। আওয়ামী লীগ নেত্রী মতিয়া চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে তারেক বলেন, শেখ মুজিবের শরীরের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাতে চেয়েছিলেন, যারা আজ তারাও শেখ হাসিনার কাছের মানুষ।

২১ আগস্টের ঘটনা ছিল শেখ হাসিনার সাজানো, এমন ইঙ্গিত করে তারেক বলেন, আওয়ামী লীগের ওই সমাবেশ মুক্তাঙ্গণে হওয়ার কথা থাকলেও শেখ হাসিনা সেটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নিয়ে গিয়েছিলো। আসলে গ্রেনেড হামলা হবে এ বিষয়টি হাসিনা আগেই জানতেন। তারেক বলেন, শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা  যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কন্ঠকে চেপে ধরে আছে,  অবৈধভাবে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে ধরে রেখেছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনকে কারচুপির নির্বাচন হিসেবে মন্তব্য করে তারেক বলেন, ওই নির্বাচনে সরকার গঠন করার কয়েকদিন পরই ঢাকার পিলখানায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।  আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নিজের চিন্তাও তুলে ধরেন তারেক।

কৃষি, শিল্প, বিদুৎসহ বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে নিজ দলের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে মন্তব্য করে তারেক বলেন, বিপুল সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশকে একমাত্র কৃষিনির্ভর অর্থনীতিই পারে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে পুরো দেশে ১০টি মেট্রোপলিটন সিটি গড়ে তুললে ঢাকার ওপর চাপ কমবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি’র এই শীর্ষনেতা।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ