রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েখুলনা বিভাগর‌্যাব সদস্যকে হত্যার দায়ে ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড

র‌্যাব সদস্যকে হত্যার দায়ে ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড

বাগেরহাটে কোস্টগার্ড ও র‌্যাবের তিন সদস্যকে হত্যার দায়ে আদালত ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস.এম. সোলায়মান এই আদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত দুই জনকে খালাস দেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই পলাতক রয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম শেখ, বাবুল শেখ, কুদ্দুস শেখ ও তাঁর ভাই ইদ্রিস শেখ এবং একই উপজেলার খালকুলিয়া গ্রামের আলকাস ফকির ও ইলিয়াস শেখ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন গাবগাছিয়া গ্রামের রিয়াজুল শেখ, আকরাম শেখ, আলম শেখ, বাদশা শেখ, জামাল শেখ, কামাল ওরফে সুমন শেখ এবং খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের আসলাম শেখ। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এই সাতজনকে আদালত একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। খালাসপ্রাপ্ত দুজন হলেন খুলনার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের নান্না শেখ ও মিজানুর রহমান। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটের মংলা উপজেলার পশুর নদীতে ১৫-২০ জনের একদল ডাকাতকে ধরতে ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে খুলনার র‌্যাব-৬ ও মংলার কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি দল যৌথভাবে অভিযানে যায়। এ সময় ডাকাত ডাকাতদের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি হয়। এক প র‌্যায়ে অভিযানকারীরা তাদের স্পিডবোট থেকে ডাকাতদের নৌকায় ওঠে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেন। এ সময় ডাকাতদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয় এবং ডাকাতেরা র‌্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্য এমএইচ কবির ও এমএ ইসলাম ও এবং র‌্যাব সদস্য কাঞ্চন নিখোঁজ হন। পরদিন পশুর নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় র‌্যাব-৬ এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মহসীন আলী বাদী হয়ে মংলা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি তদন্তকালে বাদশা শেখ ও জামাল শেখ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাঁরা দুজনেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করেন।  ২০০৭ সালের ৮ মে মংলা থানার উপপরিদর্শক ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন শেখ আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় অভিযুক্তদের ডাকাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার শুনানিকালে আদালত মোট ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ