রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়২০১৫ সালের পর এসিসি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে

২০১৫ সালের পর এসিসি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে

‘ফর দ্য গেম, ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’—ফিফার একটি স্লোগান। এ কারণেই বোধ হয় ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। এ কারণেই জাতিসংঘের চেয়ে ফিফার সদস্যসংখ্যা বেশি! আইসিসির ক্ষেত্রে এই স্লোগান হতে পারে—‘ফর দ্য গেম, ফর দ্য বিগ থ্রি!’ সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসির বেশ কিছু সিদ্ধান্তে সেটিই যেন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শঙ্কা-জাগানিয়া আরেকটি খবর—হুমকির মুখে পড়েছে এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলও (এসিসি)।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুল হক সংস্থার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথাই জানালেন। এতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ২০১৫ সালের পর এসিসি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এসিসির মতো বিভিন্ন মহাদেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রশাসক সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডও সীমিত করার পরিকল্পনা করেছে ক্রিকেটের বৈশ্বিক সংস্থা (আইসিসি)।

বাংলাদেশের এ সাবেক ক্রিকেটার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘আইসিসির পক্ষ থেকে কুয়ালালামপুর-ভিত্তিক আঞ্চলিক এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আস্তে আস্তে সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের পর হয়তো এসিসি শুধু কাগুজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।’

আশরাফুল হক আরও বলেন, ‘এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে ক্রিকেটের প্রসারের জন্য যেসব কাউন্সিল রয়েছে, সেগুলোর কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে কমে যাবে এবং এগুলোর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ আইসিসির হাতে চলে যাবে। টেস্ট ক্রিকেট খেলে না—এমন দেশগুলোতে ক্রিকেটের উন্নয়নের যে কাজ এখন এসিসি বা আঞ্চলিক সংস্থাগুলো করছে—ভবিষ্যতে সে কাজটা সরাসরি আইসিসিই করবে।’

কিন্তু এতে ক্রিকেটের কী উপকার হবে? এ বিষয়ে অবশ্য এসিসি প্রধান নির্বাহী বিস্তারিত জানাতে পারেননি। তবে বললেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসির নিয়ন্ত্রণ এখন চলে গেছে মূলত তিনটি দেশের হাতে—ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এই তিনটি দেশ মনে করছে যে দশটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাইরে আরো আট-দশটি দেশ খেললেই যথেষ্ট। এত বেশি দেশ খেলার কোনো দরকার নেই এবং এর জন্য যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে তার কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আইসিসি হয়তো এতগুলো দেশে ক্রিকেট খেলাতে চায় না। কিন্তু ক্রিকেটের বিশ্বায়ন দরকার। পৃথিবীর সব দেশ যদি ক্রিকেট না খেলে তা হলে ক্রিকেটকে কীভাবে বৈশ্বিক খেলা বলা যাবে?’

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ক্রিকেটের প্রসার ও উন্নয়নের জন্য ১৯৮৩ সালে গঠিত হয় এসিসি। শুরুতে অবশ্য এর নাম ছিল ‘এশিয়ান ক্রিকেট কনফারেন্স’। বাংলাদেশসহ এর সদস্য ২৫টি দেশ। ক্রিকেটে ক্রমেই এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি মূলত এসিসিরই অবদান। টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা এশিয়াতেই বেশি। এর পরও কেন এসিসির বিলুপ্তি প্রয়োজন, সেটিই প্রশ্ন।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ