শিক্ষিত মানুষের মধ্যে যত গোলমাল বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী। শনিবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের বছিলা এলাকায় তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর নিচে ‘নাগরিক সমাবেশ ও গণসাঁতার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। বুড়িগঙ্গা রোভারকিপার, বছিলা ইউনাইডেট ক্লাবসহ কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখছি, যত গোলমাল শিক্ষিত মানুষের মধ্যে। যারা নদী দখল, দূষণ করছেন তারা সবাই কিন্তু উঁচুমহলের ও শিক্ষিত। তিনি বলেন, আমাদের প্রাণের নদীগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা খুবই জরুরি।
সমাবেশে সুলতানা কামাল বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীসহ দেশের সব নদীকে রক্ষার জন্য যথেষ্ট আইন ও পদক্ষেপ আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। তাই আমাদের নিজেদের সম্পদ রক্ষার জন্য নিজেদেরই উদ্যোগী হতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ যদি সত্যিকারের সচেতন ও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে তাহলে ক্ষমতাবান ও স্বার্থানেষী মহলের কাছ থেকে এ জাতীয় সম্পদ রক্ষা করতে পারবো। নিজেদের সম্পদ যতদিন আমরা রক্ষা করতে এগিয়ে না আসবো, ততদিন প্রভাবশালী মহলেরা নদীগুলোকে দখল, দূষণ করতে থাকবে। এ সময় তিনি সবাইকে নদী রক্ষার জন্য প্রয়োজনে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করার পাশাপাশি একসঙ্গে থাকার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির নির্বাহী পরিচালনক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হচ্ছে নদীর মধ্যেই। কিন্তু নদীর পাড় থাকবে না এটা কী করে হয়! এ থেকেই বোঝা যায় নদী দখলের চক্রটি কতটা সক্রিয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান মির্জা, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ লিপু, জনপ্রিয় শিল্পী হাসান মাসুদ। সমাবেশ শেষে গণসাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।