বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিজামায়াতের বিচার হবে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবেই : আইনমন্ত্রী

জামায়াতের বিচার হবে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবেই : আইনমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ স্টিফেন জে র্যাপের বক্তব্যের বিরোধিতা করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবেই জামায়াতের বিচার করা হবে। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়েলের হালনাগাদকৃত খসড়া সম্পর্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার আমেরিকান সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ স্টিফেন জে র্যাপ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচারকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। স্টিফেন র্যাপের এ বক্তব্যের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা আইনমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গেও তার (র্যাপ) কথা হয়েছে। তখন তিনি এ বিষয়ে কিছু বলেননি। এটি হয়তো তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। তবে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবেই জামায়াতের বিচার হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের (আইসিটি) সংশোধনী আইনটি খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করা হবে। এ সংশোধনীতে দল হিসেবে জামায়াত ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর বিচার ও শাস্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান সংযোজন করা হচ্ছে।

আনিসুল হক বলেন, ৪২ বছরের অধ্যায় শেষে আমরা নতুন অধ্যায়ে যাচ্ছি। দল হিসেবে জামায়াতের বিচার হওয়া অপরিহার্য্য। ট্রাইব্যুনাল সর্ম্পকে তিনি বলেন, মামলা বাড়লে ট্রাইব্যুনাল বাড়বে। মামলা কমলে ট্রাইব্যুনাল কমবে। যুদ্ধারপরাধীদের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রায় দেওয়া এবং বাস্তবায়ন ট্রাইব্যুনালের বিষয়। এটি আমার বিষয় নয়।

এর আগে আইন, বিচার এ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইম্যান্ট ফান্ড (বিআইসিএফ) আয়োজিত রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়ালের ওপর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়াল হালনাগাদ করছে আইন মন্ত্রণালয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইন পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে আইনেরও পরিবর্তন হয়। ভূমির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়াল হালনাগাদ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, দশ বছর পর পর এ ম্যানুয়ালটি হালনাগাদ হবে। এর মধ্যে যখন কোনো আইন
পরিবর্তিত হবে তখন এর সাপ্লিম্যান্ট বের হবে।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এএসএসএম জহিরুল হক, বাংলাদেশ ইনভেস্টম্যান্ট ক্লাইম্যান্ট ফান্ডের (বিআইসিএফ) প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবদুল মান্নান খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ