বিষয়টিকে নজীরবিহীন আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে নির্মূল করতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ফখরুল বলেন, ৫ জানুয়ারি একটি ‘অবৈধ’ নির্বাচনের পর এ ‘অবৈধ’ সরকার বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে পুরোপুরি নির্মূল এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা ও চার্জশিট দিচ্ছে। তাদের একটাই উদ্দেশ্যে, আবার এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা। যেটা তারা অতীতে করেছিল বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও এ সরকার একাধিক মামলা দিয়েছে। দলের সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রেখেছে, বলেন ফখরুল।
সরকার বিরোধী মত দমনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, যারাই ভিন্ন মত পোষণ করছে, তাদের বিরুদ্ধেই সরকার খরগ হস্ত হচ্ছে। সম্প্রচার নীতিমালার নামে সংবদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। একের পর এক মিডিয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু এসব করে অতীতে কেউ পার পায়নি, ভবিষ্যতেও পাবে না। আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, আন্দোলন কোনো মহূর্তের ঘটনা নয়, চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের আন্দোলন চলমান আছে, থাকবে।
কবে নাগাদ নতুন কর্মসূচি আসছে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, খুব শিগগিরই দলের স্থায়ী কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসে আন্দোলন কর্মসূচি চূড়ান্ত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, ড্যাবের সভাপতি ডা.একে এম আজিজুল হক, মহাসচিব ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।