শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিনির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ভুল করেছে : প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ভুল করেছে : প্রধানমন্ত্রী

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ভুল করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেই ভুলের মাশুল তাদেরই দিতে হবে। লন্ডনে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কথা কেন বলা হচ্ছে সেটা বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, একটা জিনিস বুঝিনা, সবাই আলোচনা আলোচনা করে এত ব্যস্ত কেন? আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজে টেলিফোন করেছিলাম, তার ফলাফল সবাই জানে। এখন কোনো একটি রাজনৈতিক দল যদি পদক্ষেপ নিতে ভুল করে, তার দায়-দায়িত্ব কার?

শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে মদদ দিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের বাঁচাবার জন্য মানুষ হত্যা করেছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাদের আনার জন্য, তাদের আহ্বান করতে হবে, আলোচনা করতে হবে .. কেন এই প্রশ্ন বার বার আসে? বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে কোন আলোচনার কথা তিনি নাকচ করে দিলেও, আগামী নির্বাচনও ৫ জানুয়ারির মত একই পদ্ধতিতে হবে কিনা, সেই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে’ হয়েছে, এবং সেটার পরিবর্তে কোন অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি কাম্য হবে না।

শেখ হাসিনা জানান, তার সরকারের মেয়াদ শেষ হবার পর নির্বাচন হওয়া স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সেই নির্বাচন ঠেকাবার জন্য ব্যাপক নাশকতার আশ্রয় নেয়। ‘নির্বাচনে না এসে, অর্থাৎ গণতন্ত্রের পথে না থেকে, অগণতান্ত্রিক পন্থা আসার রাস্তা করে দেওয়াটা কি একটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক’? প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপিকে জামায়াতের মিত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি সেই কাজটাই করেছে, কারণ তাদের মিত্র জামায়াত নির্বাচন থেকে বাদ পড়েছিল। জামায়াত নির্বাচন কমিশনের নিয়ম-নীতি ভঙ্গের দায়ে নিবন্ধন হারায়, যার জন্য তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার হারায়। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যদি সরকারে না থাকতাম, বাংলাদেশে কার সাহস ছিল এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে এবং তাদের শাস্তি দেয়? ‘যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের রক্ষা করার জন্য বিএনপি নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করেছি, সরকার গঠন করেছি, পার্লামেন্ট চলছে, অন্তত এখনকার পার্লামেন্টে বিরোধী দল থাকছে, কথা বলছে, সরকারে থাকলেও বিরোধী দল হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা দরকার, তাও তারা বলছে।

শেখ হাসিনা জানান, বিরোধী দলকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করাটা কোন নতুন বিষয় নয় এবং এ ধরনের সরকার তিনি গঠন করেছেন শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে বলে যে অভিযোগ অনেকে করছেন তা নাকচ করে  প্রধানমন্ত্রী জানান, একমাত্র তার সরকারেরই সাহস আছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত করার। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এখন আদালতের হাতে, তবে সরকার এই বিচার এগিয়ে নিয়ে যাবার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়েছে বলে যে কথা কেউ কেউ বলছেন, তার কোন ভিত্তি নেই

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ