শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিসংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ সম্পর্কে প্রকাশিত খবর সঠিক নয় : ইনু

সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ সম্পর্কে প্রকাশিত খবর সঠিক নয় : ইনু

সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ সম্পর্কে প্রকাশিত খবর সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকেরা পত্রিকার ডিক্লারেশন দেন বলে তাঁরা এটা বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বলে দেওয়া হয়েছে, এটা দেওয়া হবে না। সরকারও বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে গণমাধ্যম পরিস্থিতি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালের দ্য প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস অ্যাক্ট যুগোপযোগী করা হবে। এটা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা হবে। এখানে গোপন বলে কিছু নেই। এ দেশে গোপন কাজ করে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীরা। তাই আইনটি নিয়ে বিভ্রান্ত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সচিবালয়ে গত পরশু এক সভায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী সাংবাদিকদের উদ্দেশে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের জন্য এমন আইন করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে আপনাদের স্বাধীনতাই থাকবে না।’ সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এ হুমকির ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমার একজন সহকর্মীর মন্তব্য। এটা সরকারের বক্তব্য নয়।’

হাসানুল হক ইনু বলেন, ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর ছয় শতাধিক ডিক্লারেশন দিয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা। কারণ, সরকার অবাধ তথ্যে বিশ্বাসী। শুধু বিশ্বাসী নয়, কর্মেও তার প্রতিফলন ঘটাতে সরকার বদ্ধপরিকর।  মন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ধর্মবিরোধিতার অভিযোগে পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের ক্ষমতা চান প্রশাসকেরা। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রস্তাবটি তথ্য মন্ত্রণালয়ে আসে। গত জানুয়ারিতে মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি আইনটি যুগোপযোগী করার জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে (ডিএফপি) দায়িত্ব দেয়। ডিএফপি একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে পাঠায়। কমিটি খসড়াটি আবার ডিএফপির কাছে ফেরত পাঠিয়েছে। কারণ, ডিএফপির প্রস্তাবগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই যুগোপযোগী করার প্রক্রিয়াটি মাত্র শুরু হয়েছে। এটা পূর্ণাঙ্গ রূপ নয়। খসড়া চূড়ান্ত হলে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ