বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনশেষ কর্মদিবসে কর্মচারীদের হাতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

শেষ কর্মদিবসে কর্মচারীদের হাতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

শেষ কর্মদিবসে কর্মকর্তাদের বিদায় সংবর্ধনার পর কর্মচারীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কর্মচারীদের সঞ্চিত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা তাকে লাঞ্ছিত করেন। পরে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ পান। শিক্ষাবোর্ডে মঙ্গলবার তার শেষ কর্মদিবস ছিল। বুধবার সরকারি কমার্স কলেজে যোগ দিয়ে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করবেন তিনি।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শেষ কর্মদিবস হিসেবে মঙ্গলবার সকালে কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারা চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছাও জানান। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় বোর্ডের কর্মচারীরা তাকে লাঞ্ছিত করে। এসময় তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দিতে থাকেন। পরে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাছির বলেন, বোর্ডের দুইজন কর্মচারীর সহযোগিতায় কর্মচারীদের জমানো ২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। দীর্ঘদিনের জমানো টাকার হিসেব না পেয়ে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করে।

এদিকে বোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরণের অনিয়মের ‍ অভিযোগ তুলেছেন কর্মচারীরা। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পরিদর্শনের নামে ঘুষ আদায় করেছেন বোর্ড চেয়ারম্যান। এছাড়া নিয়ম না মেনে অনেক স্কুল- কলেজে পাঠ দানের অনুমতি, নবায়ন ও স্বীকৃতি দিয়েছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার একটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে পাঠদানের অনুমতি নবায়নের চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

এদিকে সরকারি বিভিন্ন দিবসে কনসার্টের আয়োজন করে বোর্ডের টাকা অপচয়ের অভিযোগ আছে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। শোক দিবসে কনসার্টের আয়োজন করে মঞ্চে উঠে গায়িকার সঙ্গে নাচানাছি করায় বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ