বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আজম খাঁন জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কচুয়ার শাখারীকাঠি বাজারে গণহত্যার শিকার রঘুদত্তকাঠি গ্রামের শহীদ জিতেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে নিমাই চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ২০০৯ সালে কচুয়া থানায় এই রাজাকার কমান্ডারসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত দল দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিরাজ মাস্টার, খাঁন আকরাম হোসেন ও আব্দুল লতিফ তালুকদারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে।
এ নিয়ে শাখারীকাঠী গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভূক্ত পলাতক ৩ আসামির সবাইকে কচুয়া, রাজশাহী ও বাগেরহাট সদর থেকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ গত ১০ জুন এই ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে কচুয়া থানা পুলিশ গত ১১ জুন এই মামলার অপর পলাতক আসামি আ. লতিফ তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করে। এরপর গত ১৯ জুন অপর পলাতক আসামি আকরাম হোসেন খাঁনকে রাজশাহী থেকে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সর্বশেষ এই মামলার প্রধান পলাতক আসামি সিরাজ মাস্টারকে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ সদর উপজেলার ডেমা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হল।