চার দিন পর নগরের সব ক্লিনিক, রোগ নির্ণয়কেন্দ্র (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) ও সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকেরা কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ভবনে এক সভায় চিকিত্সকেরা ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অমিত রায়ের চিকিত্সাকে কেন্দ্র করে নগরের গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিত্সক তানভীর আহমেদকে (বাপ্পা) তুলে নিয়ে যান। তবে সেই রাতেই ওই চিকিত্সককে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গত শনিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘটের ডাক দেয়। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনারস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ), বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি (বিপিসিডিওএ), প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার সমিতি, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি।
বিএমএর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শেখ বাহারুল আলম বলেন, চিকিত্সাকেন্দ্রে হামলা ও চিকিত্সক অপহরণকারীদের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে ১৬ ও ১৭ জুলাই সরকারি ও বেসরকারি সব চিকিত্সা প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে।