শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিআ'লীগ পরিত্যক্ত দল হিসেবে নিজেদেরকে পরিচিত করেছেন : মির্জা ফখরুল

আ’লীগ পরিত্যক্ত দল হিসেবে নিজেদেরকে পরিচিত করেছেন : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগকে একটি পরিত্যক্ত দল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর নির্যাতনের তৃতীয় বার্ষিকীতে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে আওয়ামী লীগ একটি পরিত্যক্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদেরকে পরিচিত করেছেন বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা বিয়ক সম্পাদক খাইরুল কবির খোকন, এলডিপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন সেলিম, মীর শরাফত আলী সপু।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের যদি এতটুকু সাহস থাকে তাহলে ৠাব পুলিশ বাদ দিয়ে রাজপথে আসুন দেখা যাবে কারা আন্দোলনের দল। এখনও সময় আছে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে একটি নির্দলীয় সরকারের  অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় যে পরিণতি হবে তার দায় আপনাদেরই নিতে হবে। সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর এক বক্তব্যর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ইনু বলেছেন খালেদা জিয়া নাকি জঙ্গিবাদের দোসর। দেশনেত্রীকে জঙ্গিবাদের সমর্থক বলেছে। এও বলেছেন খালেদা জিয়াকে দেশ থেকে বিদায় করতে হবে।’ তার এই বক্তব্যর তীব্র প্রদিবাদ জানিয়ে বলেন, দেশনেত্রীর যদি এতটুকু ক্ষতি হয় তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।  এই ষড়যন্ত্র আমরা বুঝি। দেশনেত্রীকে সরাতে পারলেই তো আপনাদের পথের কাটা দূর হয়। কিন্ত দেশের মানুষ তা হতে দেবে না।

তিনি বলেন, এই ইনু গণ বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। আজ আবার তার দলের নেতাই তথাকথিত সংসদে বলেছে কাফফারা দিয়ে আওয়ামী লীগের হাতে হাত মিলিয়েছে। বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করতে হবে। এই জালেম সরকার বিরোধী পক্ষের মতকে বিশ্বাস করে না। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বিশ্বাস করে না।

জয়নুল আবদিন ফারুক  বলেন, এই জালেম সরকারের নির্যতনের শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত আমি জীবিত থাকলেও আমার সহকর্মী ইলিয়াস আলীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের কি অবস্থা আজও জানি না। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি (খালেদা) আন্দোলন পরিকল্পনায় কখনই ভুল করেন না।  তিনি বলেন, অচিরেই আন্দোলনের মাধ্যমে এই যালেম সরকারের পতন ঘটনো হবে।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, জন্মের পর থেকে এহেন কোনো কুকীর্তি নেই যা আওয়ামী লীগ করেনি। কুকীর্তির জন্যই ইতিহাসে তাদের নাম লেখা আছে। আজ আওয়ামী লীগের ঘরে জন্ম নেওয়ার সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির নতুন কুকীর্তির মিশন হাতে নিয়েছেন। তার নিজ এলাকায় কেউ তার কথা না শুনলে প্রথমে মাথা ন্যাড়া করা হয়। এরপরেও না শুনলে বস্ত্র হরণ করা হয়। তারা এখন গুম-খুনের পর বস্ত্র হরণের কাজ হাতে নিয়েছে।

নিজ দলের নেতাকর্মীদের সংশোধন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আলাল বলেন, দলের নেতাকর্মীদের ভুল হলে নিজ ফোরামেই আলোচনা করতে হবে। সর্ব মহলে এটা আলোচনা করে আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দিলে হবে না। এখনই এটা বেশি করা হচ্ছে। যে কারণে আওয়ামী লীগ মনে করে আমাদের মনোবল দুর্বল। আমাদের কোনো কথায় পাত্তা দেয়না। তবে যখন ধরা হয় তখন হুজুর আব্বা হুজুর আব্বা বলে ডাকে। যেমন ড. হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে যখনই উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে তখনই বলছে আমি বলি নাই যে তারেক কোকার নামে সুইচ ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট আছে। শাহাদত হোসেন সেলিম বলেন, কঠিন এবং কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই জালেম সরকারকে পতন ঘটনা হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ