সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
প্রচ্ছদজাতীয়এ সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এ সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গঙ্গা পানিচুক্তির ন্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তিও অবশ্যই সম্পাদিত হবে।

 

সোমবার সংসদে বিএনপির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পয়েন্ট অব অর্ডারে তিস্তা চুক্তি ও ভারতের সাথে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দেয়া বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন তিনি।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তির মতো তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ কারণে এই চুক্তি সম্পাদনে দেরি হচ্ছে। দেশের স্বার্থরক্ষা করে এই চুক্তি অবশ্যই সম্পাদিত হবে।

 

দীপুমনি বলেন, কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। অন্য কোন সরকার এসব বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে দিল্লী সফরের সময় গঙ্গা পানি চুক্তির কথা উত্থাপন করতে ভুলে গেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

 

ডা. দীপু মনি বলেন, বিরোধী দলের সদস্যরা শুধু ভারতের সাথে ৫৪টি অভিন্ন নদীর কথা বলছেন, মিয়ানমারের সাথে ৩টি অভিন্ন নদীর কথা বলেন না। ভারতের সাথে ইতোমধ্যে ১টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন চুক্তি হয়েছে। আরো ১টি নদীর পানি বণ্টন চুক্তিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ৫২টি নদীর পানি বণ্টনে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে চুক্তি হবে।

 

তিনি ব্যারিস্টার মওদুদের আন্তঃনদী সংযোগ, টিপাইমুখ বাঁধ সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যের জবাবে বলেন, ‘এ বিষয়ে তিনি অসত্য তথ্য দিয়েছেন। আন্তঃনদী সংযোগ বিষয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করার পর ভারত সরকার আশ্বাস দিয়েছে আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে তারা বাংলাদেশের স্বার্থহানি হবে এমন কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না।’

 

তিনি বলেন, ‘টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে আমরা যৌথ গবেষণা প্রস্তাব দিয়েছি। গবেষণার পর এ বাঁধ উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ এতে অংশ নেবে।’

 

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পানি বণ্টন অভিন্ন নদীসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে সরকারের সাফল্যের স্বীকৃতি দেননি।

 

তিনি সঠিক তথ্য জেনে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে এ ব্যাপারে তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য আমির হোসেন আমুও বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ