ইফতারি বিতরণ নিয়ে অসন্তোষের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদ্দিন হলের প্রভোস্টকে অবরুদ্ধ করে রাখেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেলে ইফতারের আগে প্রভোস্ট ড. মোঃ রহমত উল্ল্যাহকে হলের ডাইনিং রুমে প্রায় দেড়ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এর আগেও হলে সিট বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন রহমত উল্ল্যাহ। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলের অফিস রুম এবং প্রভোস্টের কক্ষ ভাঙচুর করে এবং প্রভোস্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এরপর এক পর্যায়ে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দিলে বিশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীরা যে যার মত খাবার নিয়ে নেয়। বিশৃঙ্খলার খবর শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এএম আমজাদ ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং প্রভোস্টকে নিয়ে হলত্যাগ করেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ ওই হলে বার্ষিক ইফতার পার্টির আয়োজন করে হল কর্তৃপক্ষ। তারা ইফতারি সংগ্রহ নিয়মাবলী লিখে একটি নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়।
নোটিশে বলা হয়, যারা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তারাই কেবল খাবার খাবারের টোকেন সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু প্রভোস্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হলে আবাসিক-অনাবাসিক মিলিয়ে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী থাকেন। এদিকে গত পহেলা বৈশাখের প্রীতিভোজের টোকেন দেওয়ার সময় আবাসিক হওয়ার অজুহাতে প্রভোস্ট প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড আটকে রাখেন। এতদিনেও অধিকাংশ আইডি কার্ড শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া হয়নি। যাদের আইডি কার্ড আটকা তারা ইফতারির টোকেন সংগ্রহ করতে পারেননি।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রতিবছর ইফতারি হল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের রুমে পাঠিয়ে দিলেও এবছর ইফতারের ঠিক আগ মুহুর্তে লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে বলা হয়। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক রহমত উল্ল্যাহ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছিনা শিক্ষার্থীরা কেন এমন করল। তারা তাদের মত করে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করে, ভাঙচুর করে খাবার লুট করে নিয়ে চলে গেল।’ শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ছিল এবং টোকেন বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।