বাজেটকে উন্নয়নমুখী দাবি করে মেয়র বলেন, এই বাজেটে ব্যাপক ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন সাধিত হবে। এছাড়া বাজেটে নাগরিক সেবা সম্প্রসারণ ও সেবার মান উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাজেটে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, সিটি কর্পোরেশনকে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনাসহ সামাজিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বাজেটে আয়ের খাত হিসেবে রাজস্ব তহবিল থেকে ১০২ কোটি ৯৪ লাখ ২০হাজার টাকা , উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারি অনুদান ৭৫ কোটি ৪৪লাখ ৬০হাজার টাকা এবং বিশেষ প্রকল্পে সরকারি অনুদান হিসেবে ৩০ কোটি টাকা ৮৮লাখ ৯৮হাজার টাকা আয় ধরা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, খুলনা মহানগরীকে সর্বাঙ্গীন সুন্দর একটি নগরীতে পরিণত করতে আমাদের আন্তরিকতা এবং প্রচেষ্টার কোন ঘাটতি নেই।
তিনি আরও বলেন, কর্পোরেশনের ওপর যেমন দায়িত্ব রয়েছে নগরবাসীর নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করা, তেমনিভাবে নাগরিকদেরও কর্তব্য রয়েছে কর্পোরেশনকে তার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা। তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীর উন্নয়নের জন্য এ বাজেট ঘোষণার পরিসর ক্ষুদ্র হলেও এর সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এই বাজেট খুলনা মহানগরীর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ রচনা করবে। আমরা আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে আগামী দিনের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে চাই।
সিটি কর্পোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ মো. গাউসুল আজম-এর সভাপতিত্বে বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, নাগরিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।