বুধবার, মে ১, ২০২৪

বাড়ল সিআরআর হার

বিনিয়োগ পরিস্থিতির মন্দায় বাজারে অতিরিক্ত তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতি। বাজার থেকে অতিরিক্ত অর্থ তুলে নিতে তাই ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণের (সিআরআর) হার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তফসিলি ব্যাংকগুলোর (শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকসহ) সিআরআর হার বাড়ানো হয়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মানিটরি পলিসি বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। নতুন বিধান অনুযায়ী আজ থেকে ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণের হার হবে দ্বিসাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে ৬ দশমিক ৫ ও দৈনিক ভিত্তিতে ন্যূনতম ৬ শতাংশ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতির উদ্দেশ্য পূরণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে নগদ জমা সংরক্ষণের হার ছিল দ্বিসাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে ৬ ও দৈনিক ভিত্তিতে ন্যূনতম ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানিটরি পলিসি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন সরকার আসার পরও বিনিয়োগের মন্দা কাটেনি। এতে বাজারে অতিরিক্ত তারল্যের চাপ বাড়ছে। ফলে ব্যাংকগুলো অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করছে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। এসব কারণে বাজার থেকে অর্থ তুলে নেয়ার কৌশল হিসেবে সিআরআর বাড়ানো হয়েছে। চলতি (২০১৩-১৪) অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা থাকলেও পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে এপ্রিলে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) ও সিআরআরের হিসাব পৃথকভাবে করার নির্দেশনা রয়েছে, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে যা কার্যকর হয়। প্রচলিত নিয়মে এ দুটি বিষয় একত্রে হিসাব করা হয়। এসএলআর ও সিআরআর পৃথকভাবে হিসাব করা হয়। দুটি মিলে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোকে ১৯ দশমিক ৫ ও ইসলামী ব্যাংকগুলোকে ১২ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হবে। এর মধ্যে উভয় ধরনের ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ৬ দশমিক ৫ শতাংশ সিআরআর হিসাবে নগদে রাখতে হবে। বাকি অংশ বিল ও বন্ডের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যায়। তবে সিআরআরের হিসাবে যে পরিমাণ অর্থ রাখতে হয়, তার বাড়তি অংশ এসএলআর হিসেবে দেখানো যায়। ব্যাংকের মোট আমানতের ওপর ভিত্তি করে প্রতি দুই সপ্তাহের গড় করে হিসাব করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ