মন্ত্রী বলেন, ইরাকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে ঢাকায় ইরান দূতাবাসের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসও বাংলাদেশি শ্রমিকদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রবাসীকল্যাণ সচিব খন্দকার শওকত হোসেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশ প্রধান শরৎ দাসসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকরা ইরাকের বিবদমান কোনো পক্ষের টার্গেট নয়। তবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সকল পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। প্রয়োজনে লিবিয়া থেকে শ্রমিক ফেরত আনার বাস্তব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মাধ্যমে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ইরাকে পরিস্থিতি খারাপ হলে বর্ডার ক্রস করে ইরানে গিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে আশ্রয় নিতে পারেন, সেজন্য আমরা বাংলাদেশে অবস্থিত ইরান দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দূতাবাস আমাদের শ্রমিকদের সকল ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুতি নিয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ইরাকে বাংলাদেশিদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো পরিবেশে সৃষ্টি হয়নি। তারপরও শ্রমিকদের তিনি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও পানিসহ নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে দলবদ্ধভাবে থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী। আইওএম‘র বাংলাদেশ প্রধান শরৎ দাস বলেন, আটকেপড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) । তবে তাদেরকে ফেরত আনার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। যদি এ রকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে দ্রুততম সময়ে কিভাবে ফেরত আনা যায় সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।