সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি)
সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ক্রিস্টিন ই কাইমস এতে স্বাক্ষর করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) জানায়, ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১১টি ট্রান্সফরমার ওভারলোডেডের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া ওভারলোডেডের হওয়ার কারণে এসব ট্রান্সফরমার জ্বলে যাওয়া, লাইন পুড়ে ও ছিঁড়ে যাওয়াসহ উপকেন্দ্র বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটছে অনেক সময়।
অারইবি বর্তমানে দুই লাখ ৪৮ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইনের মাধ্যমে নয় দশমিক ৭০ মিলিয়ন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের পুরোনো লাইন, সাব-স্টেশন এবং ওয়ারলোডেড ট্রান্সফরমারের জন্য নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকার পরও বিতরণ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় আরইবি’র গ্রাহকরা লো-ভোল্টেজ এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছেন।এ লক্ষ্যে ছয় হাজার ১৫০ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া দুই হাজার ৬৩৪ কিলোমিটার ১১ কেভি লাইন নির্মাণ করা হবে।
ইআরডি সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন জানান, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন না বাড়ার কারণে পুরোনো লাইনে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে বছর বছর বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ নষ্ট হচ্ছে। মূলত সিস্টেম লসের কারণে বিদ্যুৎ নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। সহজ শর্তে বিশ্বব্যাংক এ ঋণ দিচ্ছে। সুদের হার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরে বাংলাদেশকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।