সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ সরকারকে না বলে দিয়েছে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সিটি নির্বাচনে জনগণ সরকারের প্রতি অনাস্থার প্রকাশ ঘটিয়েছে—এ কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিকল্প নেই, এটা এ নির্বাচনের বাণী।
প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন—সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের রায়ের পর সরকারের উচিৎ ছিল পদত্যাগ করা।
বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, ‘এ নির্বাচনের ফলাফলের মধ্য দিয়ে জনগণ সরকারকে তাদের না জানিয়ে দিয়েছে। সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক সরকার যদি হতো তাহলে এ নির্বাচনের উপর ভিত্তি করে এ সরকারের পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’
ফখরুল বলেন, বিএনপি সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের যে দাবি জানিয়ে আসছে সিটি নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে সে দাবির প্রতি জনগণের সমর্থন মিলেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে দেশের শতকরা ৯০ জন মানুষ একমত। প্রতিটি রাজনৈতিক দল বলেছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত। সুতরাং এটা হচ্ছে আস্থার প্রশ্ন। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আর জাতীয় সংসদ নির্বাচন তো এক নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল চার সিটি করপোরেশনের ভোটারদের দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।
এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার যদি চার সিটি নির্বাচনের অজুহাত দিয়ে সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে করার চেষ্টা করে তবে সে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে বিএনপি।
সরকারের উদ্দেশ্যে মওদুদ বলেন, ‘আপনারা আত্মতৃপ্তি পাওয়ার চেষ্টা করবেন যে আমরা কতো ভালো সরকার। এ নির্বাচনে যেহেতু বিরোধীদল জিতে গেছে, তাহলে আমাদের সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন হবে না? এ নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনো তুলনা করা যাবে না।’
তাছাড়া সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মওদুদ।