জিয়া খানের মৃত্যুর পরও জিয়া-সুরোজের অপরিণত প্রেম কাহিনী এখনো বি-টাউনের আলোচনার মুখ্য বিষয়। বলিউডের ‘ব্যাড বয়’ খ্যাত সালমান খানও এ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, অনেক আগেই তিনি সুরোজের কাছ থেকে জিয়াকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন ।
সুরোজের মা জেরিনা ওয়াহাবও ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে এটাই স্বীকার করলেন , তার ছেলে সুরোজ কোন ভাবেই জিয়া খানের যোগ্য নয়। আর জিয়ার মা তো বরাবরই বলে আসছেন, সুরোজ পাঞ্চোলি তার মেয়ের যোগ্য নয়। মোট কথা জিয়া-সুরোজের সম্পর্কটি যে কোনভাবেই অন্য আর ১০টি সম্পর্কের মতো স্বাভাবিক ছিলনা তা অনেকেরই জানা। শেষমেষ সুরোজের মা এ নিয়ে মুখ খুললেন।
জেরিনা মনে করেন, তার ছেলে সুরোজ কোন ভাবেই নিঃশব্দের অভিনেত্রী জিয়া খানের যোগ্য নয়। তবে সুরোজ জিয়াকে, জিয়ার মতো নয় বরং নিজের মতো করে ভালোবেসেছিলেন।
গত ৩ জুন মুম্বাই নিজ বাসভবনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী জিয়া খান। মৃত্যুর চার দিন পর উদ্ধার হয় জিয়ার লেখা ছয় পৃষ্ঠার চিঠি। এ চিঠি উদ্ধারের পরে জিয়া রহস্যের জট খুলতে শুরু করে। চিঠির জের ধরে প্রেমিক সুরোজকে ১৩ জুন গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ।
এদিকে গত ১১ জুন অনেকটা হঠাৎ করেই জেরিনা ওয়াহাব চলে আসেন রাবিয়া খানের সঙ্গে দেখা করতে। তবে দুই মায়ের এ বৈঠক খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়ছে বলা যায়না।
জেরিনা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি রাবিয়া খানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম শুধুমাত্র একজন মা হিসেবে। আমার ছেলের পক্ষে সুপারিশ নিয়ে তার কাছে যাইনি।’
উল্লেখ্য, ওই সময়ে জেরিনা খান ছাড়াও সেখানে অনেক গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন। জেরিনা খানিকটা একা সময় রাবিয়ার সঙ্গে কাটাতে চাইলেও রাজী হননি সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানের মা।
জিয়া খানের মৃত্যুর পরে অনেকেই কাজ না পাওয়ার হতাশাকে দায়ি করলেও, শুরু থেকেই এটি মানতে নারাজ রাবিয়া খান।
সুরোজ-জিয়া সম্পর্কে জেরিনা আরও বলেন, ‘রাবিয়াজী শুরু থেকেই বলে আসছেন যে, জিয়ার জন্যে সুরোজ উপযুক্ত ছিলো না। আমি উনার কথার সঙ্গে একমত। জিয়ার জন্যে এমন একজনের প্রয়োজন ছিলো যে তাকে অনেক বেশি বুঝবে এবং তার প্রতি যত্নবান হবে।
এছাড়া জিয়া তার চিঠিতে লিখেছে যে, সুরোজ আমাকে কখনোই আমার মতো করে ভালোবাসেনি। এ ব্যাপারেও আমি জিয়ার সঙ্গে একমত। কারন আমি নিশ্চিত যে, সুরোজ তাকে নিজের মতো করে ভালোবেসেছে এবং তার প্রতি যত্নবান ছিলো।
এছাড়া জেরিনা আরও বলেন, গত ১৮ মে জিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছুটে আসে পাঞ্চোলি’স হাউজে।
পরে সুরোজ তা মা জেরিনা ওয়াহাবকে জানান, ‘জিয়া তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে এসেছে।’
সেদিন সুরোজের ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিলো। কিন্তু সে পরিবারের সবাইকে জানিয়ে দেয়, ‘এসময়ে জিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সুতরাং তাকে একা রেখে আমি কোথাও যাবো না।’
কারন সুরোজ ধারনা করেছিলো একা থাকলে জিয়া নিজের ক্ষতি করতে পারে।
রাবিয়া খান বলেছেন, আমার ছেলে জিয়াকে ব্রেকআপ বুকলেট পাঠিয়েছিলেন। এটি সঠিক নয়, জিয়া নতুন সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলো এজন্যে তাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলো সুরোজ।
এছাড়া জিয়া যেদিন মারা যান ওই দিন সুরোজ জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাকে আঘাত করেছেন এটি সঠিক নয়। রাবিয়া খান গোপন ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এটি নিশ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করলেও, আমি বলবো তিনি ভুল দেখেছেন বা তার কোনো মানসিক সমস্যা হয়েছে।
‘আমার ছেলে শুধু জিয়া কেনো, এখন পর্যন্ত কোনো মেয়ের গায়ে হাত তোলেনি। যদি সে এটি করতো তাহলে আমি অবশ্যই তাকে ভৎর্সনা করতাম। এছাড়া সেদিন সুরোজ ও জিয়ার দেখা হয়নি। আর যদি দেখা নাই হয়, তাহলে কিভাবে আঘাত করলো?’ বলেন জেরিনা ওয়াহাব। ইন্ডিয়া টুডে