শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনজেল সুপারসহ কারা কর্মকর্তারা জাকির হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন : ভূমি প্রতিমন্ত্রীর...

জেল সুপারসহ কারা কর্মকর্তারা জাকির হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন : ভূমি প্রতিমন্ত্রীর নিকট অভিযোগ

কারা হেফাজতে মো. জাকির হোসেন নামে এক কয়েদির মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে নিহতের এলাকাবাসী। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভও করেছে তারা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলে। পরে, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমি প্রতিমন্ত্রী আশ্বস্ত করলে তারা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়।

নিহত জাকির হোসেনের বাড়ি কর্ণফুলি থানার চরলক্ষ্ম্যা গ্রামে। গত মঙ্গলবার রাতে কারাগারের রেলিংয়ে গলায় গামছা পেঁছিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে, এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে নিহতের স্বজনরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনটি ট্রাকে করে কয়েকশ’ এলাকাবাসী নগরীর সার্সন রোডে অবস্থিত ভূমি প্রতিমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় ‘জাকির হত্যার বিচার চাই/জেল সুপারের ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের দাবি দাওয়া শোনেন।

‌বিক্ষোভকারীদের পক্ষে নিহত জাকিরের ছোট ভাই মো. কাওসার ভূমি প্রতিমন্ত্রীর নিকট  অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জেল সুপারসহ উর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা এ হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। নিজেদের দায় এড়াতে তারা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারেন। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তিনি।

নিহত জাকিরের ছোট ভাইসহ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ শোনে জেলা প্রশাসকসহ কয়েকজন উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে ফোন করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি তাদের এ ব্যাপারে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে যথাযথ করণীয় পালন করার অনুরোধ জানান। মন্ত্রী এসময় সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়।

প্রসঙ্গত, অপহরণের অভিযোগে ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় জাকিরের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ২০০৭ সালের ২০ মে ওই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল জাকিরকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। একই রায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুর আগে তার সাজার মেয়াদ প্রায় সাত বছর পার হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ