শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানেনা বিএনপির শীর্ষ নেতারা, শিখছেন তারেকের কাছে : হানিফ

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানেনা বিএনপির শীর্ষ নেতারা, শিখছেন তারেকের কাছে : হানিফ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামদের বক্তব্যে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতেন না, তারা তারেক রহমানের কাছ থেকে ইতিহাস শিখছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আজ একথা বলেছেন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হানিফ বলেন, একাত্তরে পাক সেনাদের মায়ের আতিথেয়তার কথা হয়তো তারেক ভুলে গেছেন, কারণ সেদিন সে শিশু ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্ররোচনায় আজ সে লন্ডনে বসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রসঙ্গে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, একই সাথে এ ইতিহাস সম্পর্কে মিথ্যাচারও করছেন। আর বিএনপির নেতারা তার বক্তব্যকে সমর্থন করছেন তাদের পদ ধরে রাখার জন্য। এতে প্রমাণ হয় বিএনপি নেতারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতেন না, আর এখন তারেক রহমানের কাছ থেকে শিখছে। মির্জা ফখরুলও একই কাজ করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যখনই আমরা যুদ্ধাপরাধী, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অপরাধের বিচার শুরু করলাম, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এই বিচার বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লাগল। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের নামে তারা মানুষ হত্যা করা শুরু করল। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধেরও চেষ্টা করে এই শক্তি। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, যার বর্হিপ্রকাশ লন্ডনে বসে তারেক রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে মিথ্যাচার। অথচ এই তারেক রহমান আইনের দৃষ্টিতে একজন ফেরারী আসামি।তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস  সম্পর্কে যে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে স্বাধীনতা বিরোধীরা উৎসাহিত হচ্ছেন। আইন মন্ত্রণালয় এই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখছে যে, বিদেশে বসে একজন ফেরারী আসামি এ ধরণের কাজ করে দেশদ্রোহীতা করছে কিনা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আপনারা দুইবার ক্ষমতায় ছিলেন, অথচ ঐ সময় জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেন নি কেন? পরে অনেক আশ্বাসও দিয়েছেন, কিন্তু আজ বাংলার মানুষ আপনাদের বিশ্বাস করে না। আপনারা এ বিচার করবেন কীভাবে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়ারি হচেছন খালেদা জিয়া নিজেই।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জিয়াউর রহমান। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় তিনিই দিয়েছিলন, শুধু আশ্রয়ই নয়, রাষ্ট্রক্ষমতায়ও অধিষ্ঠিত করেছিলেন। এসব কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে জিয়াই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য গ্রহণ না করার জন্য এবং সর্বদা সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ বি এম মোজাম্মেল, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ