শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......ভরপেট খাবার খেলে ওজন কমবে

ভরপেট খাবার খেলে ওজন কমবে

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

কোমড়ের চারিদিকে ফুলেফেপে থাকা চর্বিগুলো সরাতে চান। পেতে চান মেদভুড়ি থেকে মু্ক্তি। তাহলে- নতুন গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা কি বলছেন শুনুন- ‘ভরপেট নাস্তা আর দুপুরে পেট ভরে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ আর ব্লাড সুগার কমবে। দিনে ছয়বার অল্প অল্প খাবার খাওয়ার চেয়ে ভালো কাজ করবে খাবারের এই নতুন রুটিন।

গবেষণায় দেখা গেছে, সারাদিন অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার চেয়ে পেটপুরে দুবেলা খাবার খাওয়াই ভালো। এতে ডায়াবেটিস যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে তেমনি শরীর হালকা-পাতলাও থাকে। আর কেবল তাই না, এভাবে খাবারের রোটিন ‍চালিয়ে যেতে পারলে বৃদ্ধ বয়সেও শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এই তথ্য দিয়ে গবেষকরা আবারও সেই পুরোনো দিনের কথায় ফিরে গেলেন- সকালে নাস্তা করো রাজার হালে, দুপুরের থাও রাজপুত্রের মতো, রাতের খাবার ভিখিরির মতো।

এ মাসের গোড়ার দিকে অ‍ারেক গবেষণায় দেখানো হয়েছিলো, সারাদিনে অল্প অল্প করে খাওয়ার চেয়ে দিনে তিনবার ভরপেট খেয়ে নেওয়া ভালো। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন এই গবেষণায় অবশ্য বলা হচ্ছে- দিনে তিন নয় দুইবার। আর তা সকাল ও দুপুরে।

ডাচ গবেষকরা দেখেছেন, দিনে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ-চর্বি ও শর্করাযুক্ত খাবার খেলে তা পেটের চারিদিকে পরিধি বাড়ায় তেমনি লিভারেও কোলেসস্টরেল জমায়। তবে বেশি খাবার খেলে তাতে এ সমস্যা হয় না।

চেক রিপাবলিকের একটি গবেষক দল সবশেষ ৫৪ জন ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সী ডায়াবেটিস রোগীর ওপর গবেষণাটি চালান। তারা দুই ধরনের ডায়াবেটিক রোগীকে বেছে নিয়েছেন। যাদের একটি দল সাধারণ রোগী যারা নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করেন। গবেষকরা এই দলটিকে প্রতিদিন দুটি ডায়েটের একটি অনুসরণ করে যেতে বললেন। ২৭ জনের একটি গ্রুপকে দিন ৬বার কম খাবার গ্রহণের হিসেবে খাবার দেওয়া হলো। আর অপর ২৭ জনকে সকালে ও দুপুরে ভারী খাবার দেওয় হলো। এভাবে চললো ১২ সপ্তাহ।

ডায়াবেটোলোজিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এর মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষের রোগীরাই তাদের ওজন হারিয়েছেন। কিন্তু দিনে যারা দুবার ভরপেট খাবার খেয়েছেন তাদের ওজন অপেক্ষাকৃত বেশি কমেছে। যারা দিনে দুবার খেয়েছেন তাদের ওজন কমেছে ৩.৭ কেজি আর যারা দিনে অল্প করে ছয় বার খেয়েছেন তাদের কমেছে ২.৩ কেজি। লিভারের চর্বিও উভয় পক্ষের কমেছে। ক্নিতু বেশি খাবার যারা খেয়েছেন তাদের কমার হার অপেক্ষাকৃত বেশি। তবে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছার আগে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেই মত সংশ্লিষ্টদের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ