শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তারা বলে আ'লীগ ক্ষমতায় থাকবে...

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তারা বলে আ’লীগ ক্ষমতায় থাকবে না : সৈয়দ আশরাফ

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

বিজেপির নিরঙ্কুশ বিজয়ে বিভিন্ন মহলের অবস্থানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আহম্মকের দল। কথায় কথায় বুদ্ধিজীবী বলে। অনেকে মনে করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে না। যাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা নেই তারা এ ধরনের কথা বলতে পারেন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউটশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’র আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ‍ুল ইসলাম। আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, যারা প্রতিদিন টিভি টকশোতে কথা বলেন, বাস্তব অর্থে তাদের কোনো বিষয়ে গভীর জ্ঞান নেই।  আমরা সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখি। বঙ্গবন্ধুর নীতি ছিল সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা স্বাধীন। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কারো দয়ায় এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই। এ স্বাধীনতা সেটা পাশ্ববর্তী ভারত-নেপাল, দূরত্বের আমেরিকা বা কোনো দেশের কাছে বন্ধক দেই নাই। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রয়োচিত সম্পর্ক। আমরা চাই সব দেশের সঙ্গে মিলে বিশ্বের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ভারতের নিঃশেষ দেখতে চায়, তারা মোদীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এটা নরেন্দ্র মোদী ভালো করেই জানে, কারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।

সম্প্রতি মিডিয়ায় প্রকাশিত আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতার লোভ লালসা ত্যাগ করতে হবে। অনেকের ব্যপারে অনেক সময় পত্রপত্রিকায় লেখা হয়। এটা পাঠকের জন্য বা আমার জন্য সুখবর নয়। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের এহেন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা উচিত না, যাতে শেখ হাসিনা ও আমাদের দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। আমাদের এ বিষয়ে আরো সজাগ থাকতে হবে।

আজকে ভারতের দিকে তাকান। সেখানে কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা এনেছিলো। আজকে গণবিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে জনগণ তাদের জবাব দিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের শিক্ষা। আপনি যতই ভালো কাজ করেন না কেন জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ক্ষমতা নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক দল জনগণ থেকে বিচ্যুত হতে পারে না। যদি কেউ বিচ্যুত হয়, তাদের চরম শাস্তি হতে পারে।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে যাচ্ছেন। অচিরেই চীন সফরে যাবেন। আমরা চাই সব দেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। আমরা পার্শ্ববর্তী ও দূরবর্তী সকলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হোক আমরা চাই।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার প্রয়োজন। হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। তবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা তার হাতকে শক্তিশালি করতে হবে। তার পাশে থাকতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সারা জীবন বাঁচবেন না। তার যতদিন হায়াত আছে, আমরা তাকে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে আসেন নাই, তিনি বাংলাদেশের মানুষের ভাগোন্নয়নে এসেছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনটা আনন্দের ছিল না। অত্যন্ত চিন্তিত ছিলাম। বিমান বন্দরে তার উপরে হামলার গুজব ছিল। সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। সেদিন থেকেই তিনি স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের নিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। উপস্থিত আছেন উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

বক্তব্য রাখেন- ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ