অবশেষে মুখ খুললেন মুশফিকুর রহিম। আশরাফুল-কাণ্ডে এত দিন সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে চলা বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, দীর্ঘদিনের পরিশ্রম আর অধ্যবসায় দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যেসব গৌরবগাথা রচিত হয়েছিল, আশরাফুলের ম্যাচ পাতানোর কেলেঙ্কারির ফলে তার কিছুটা গৌরবহানি তো হলোই। ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাত্কারে এই মন্তব্য করেছেন মুশফিক।
এর আগে মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছে এসেছিল ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব। কিন্তু সেগুলো নাকচ করার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়ার জন্য সুনামই কুড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। খারাপ খেলার জন্য হাজারো সমালোচনা হলেও ক্রিকেট বিশ্বে পরিচ্ছন্ন একটা ভাবমূর্তিই গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই সাফসুতরো ক্যানভাসে কলঙ্কের দাগ লেগেছে আশরাফুলের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠার পর। প্রথমে ব্যাপারটি বিশ্বাসই করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মুশফিকও, ‘শুরুতে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। বিশ্বাসই করতে পারিনি। এখন তো এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু আমি যখন আশরাফুলের মুখ থেকেই এটা শুনলাম, তখন খুবই খারাপ লেগেছিল। বিপিএলের ম্যাচগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ব্যাপারটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে।’
আশরাফুলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে কয়টি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এসেছে তার মধ্যে একটি ম্যাচের অধিনায়কও ছিলেন মুশফিক। বিগত আট বছর একসঙ্গে খেললেও কখনো এ ধরনের কোনো বিষয় আঁচই করতে পারেননি তিনি। এখন আকসুর তদন্ত শেষে আশরাফুল যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে কঠোর শাস্তিই হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। বলেছেন, ‘আমরা এত দিন ধরে একসঙ্গে খেলছি। কখনো ভাবতেও পারিনি যে এ ধরনের কিছু ঘটছে। এখন যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া উচিত। এতে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়েরা জানবে যে এটা খুবই বড় অপরাধ। আপনি কখনোই দেশের সঙ্গে বেইমানি করতে পারেন না।’
তবে যদি সবকিছুর পরে আবারও আশরাফুলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ হয়, তাহলে তাঁকে দলে স্বাগতই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘আমি আশা করছি তিনি দ্রুতই ফিরে আসবেন’, আশাবাদটি মুশফিকের।