আয়োজক দেশ হিসেবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ টিকিট নিশ্চিত হয়েছিল অনেক আগেই। অন্যদিকে বাছাইপর্বের কঠিন লড়াই শেষে সবার আগে আসন্ন বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জাপান। শনিবার ব্রাসিলিয়ায় কনফেডারেশন্স কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ব্লু সামুরাইদের লড়াই তাই হতে যাচ্ছে সত্যিকারের ‘ড্রেস রিহার্সেল’।
২০১১ সালে কোপা আমেরিকা কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়ের কাছে হারের পর প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামছে ব্রাজিল। এর মাঝে মাঠে তেমন একটা দেখাও যায়নি তাদের। এতে করে তাদের র্যাঙ্কিংয়ের ইতিহাসেও বিশাল ধস নামে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বর্তমান র্যাঙ্কিং ২২। আর গত নয়টি ম্যাচের মাত্র দুটিতে জিতে আত্মবিশ্বাসেও কিছুটা ঢিল পড়েছে। লুইস ফেলিপ স্কলারির তরুণ শিষ্যরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে তাই প্রথম ম্যাচটি জিততেই চায়। আর ঘরের দর্শকদের সামনে ব্যর্থতার লজ্জাও পেতে চাইবে না তারা।
আর এশিয়ার ফুটবল জায়ান্ট জাপানের বিপক্ষে পরিসংখ্যানে এগিয়ে সেলেকাওরা। সর্বশেষ নয়বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে সাতটি জয় ব্রাজিলের, বাকি দুটি ড্র। তবে ইতালিয়ান আলবার্তো জাচ্চেরোনির ম্যানেজমেন্টে ফুটবল ইতিহাসে এখন হুমকি বলা যেতে পারে জাপানকে।
এনিয়ে কনফেডারেশন্স কাপে তৃতীয়বার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুদল। কেউই জয়ের দেখা পায়নি এখনও। ২০০১ সালে গোলশূন্য ড্র হয়। চার বছর পর দ্বিতীয় সাক্ষাতে ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকে খেলা।
মিনি বিশ্বকাপ‘খ্যাত এই টুর্নামেন্টে তিনবার শিরোপা জিতে সবার শীর্ষে ব্রাজিল। অন্যদিকে ব্লু সামুরাইদের সেরা পারফরমেন্স ছিল ২০০১ সালে। সহআয়োজক দেশ হিসেবে ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে শিরোপা হাতছাড়া করে তারা।