বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবারই সবচেয়ে বেশী সংখ্যক নারী সরাসরি ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সংখ্যা সরাসরি ৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৪৫ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, স্থানীয় সরকারকে সংহত করার পাশপাশি তারা নারীর ক্ষমতায়নও নিশ্চিত করতে চান। ভোটাররা মনে করছেন, বিপুল সংখ্যক নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এবার ভোট দেয়ার হার বাড়বে।
ধান-নদী-খালের জনপদ বরিশালে এবার নির্বাচনে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। দেড় শতাধিক নারী প্রার্থী সরাসরি এবং সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করছেন, প্রচারণাও জমজমাট। নারী প্রার্থীরা ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানতে যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রতি। তাদের যুক্তি, পুরুষ প্রার্থীদের চাইতে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই তারা। বরং ক্ষেত্রবিশেষে আরো বেশি জনসেবা নিশ্চিত করতে পেরেছেন তারা।
কাউন্সিলর প্রার্থী নিগার সুলতানা হনুফা বলেন, ‘সকল ক্ষেত্রে, সকল কাজে নারীদের যে অংশগ্রহণ, নারীদের যে যোগ্যতা আছে তা এই এলাকার নারী সমাজ প্রমাণ করবে। ১৫ তারিখে নির্বাচনে তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে।’
কাউন্সিলর প্রার্থী আয়েষা তৌহিদা লুনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমার সাথে যারা আছে তাদের মধ্যে আমি সবচেয়ে ভালো সেবক হবো। আমার ওয়ার্ডটাকে আমি মডেল হিসেবে তৈরি করব।’
এবারের নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। পুরুষ প্রার্থীরাও নির্বাচনী মাঠে তাদেরকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবেই মনে করছেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী কাইসার বিশ্বাস বলেন, ‘সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য ছিল। এখন এই এলাকা সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত, সম্পূর্ণ সন্ত্রাসমুক্ত। এই এলাকার যে সুন্দর একটা পরিবেশ হয়েছে, সেই পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জনগণের তাগাদায় আমি এই নির্বাচন করছি।’