রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রাজনীতিবিদ, অর্থনৈতিকবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, দেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে এ বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কেউ বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জীবনমান উন্নয়নে আলাদা বরাদ্দ না দেয়ায় সেসব এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তিত হবে না। ভর্তুকি কমানোর প্রস্তাবে কৃষি খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা অনেকের। তবে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন মানুষ।
বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারের শেষ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। সরকারের এ বাজেটে রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ মনে করেন, চোখ ধাঁধানো এ বাজেট দেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে কখনোই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
অর্থনীতিবিদ প্রফেসর আনারুল কাদির বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষের জন্য, তাদেরকে দারিদ্র্যসীমার উপরে ওঠানোর জন্য যে এক্সট্রা প্রণোদনা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়।’ দুর্যোগপ্রবণ এ অঞ্চলের মানুষকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আলাদা বরাদ্দের প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কৃষির ওপর এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন কৃষকরা। গত কয়েক বছর ধরে কৃষি পণ্যের দাম বাড়ায় অব্যাহতভাবে লোকসান গুণছেন তারা।
বাজেটে শিশু খাদ্য ও কাগজের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়ায় বেকায়দায় পড়বে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। এতে করে কম আয়ের মানুষের ব্যয় বাড়বে এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ায়ও প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
তবে পোল্ট্রি ও গবাদি পশু খাদ্যের উপকরণে সবধরণের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন মাছ চাষী ও ফিস ফিড ব্যবসায়ীরা।
যশোর জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ ফিরোজ খান বলেন, ‘মাছ চাষীদের জন্য সরকার একটা সুন্দর বাজেট উপহার দিয়েছে।’
অন্যদিকে, যেসব পণ্যের মূল্য কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ভোক্তা পর্যায়ে তার সুফল পৌঁছাবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘কমানো হয়েছে সেগুলো সেগুলো আসলে কম মূলে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।’