এখনো এক বছর দূরে ফুটবল বিশ্বকাপ। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ব্রাজিল – আর্জেন্টিনার ইঁদুর দৌড়। তবে এ প্রতিযোগিতায় দৌড়বিদ বর্তমান সময়ে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত দুই নাম- মেসি ও নেইমার। যদিও খুব একটা দেরি করতে রাজি হননি কিংবদন্তি পেলে। জানিয়েছেন মেসির চেয়েও বড় তারকা হবার সম্ভাবনা রয়েছে, নেইমারের মধ্যে।
ব্রাজিল ছেড়ে মার্কিন মুলুকে উড়ে এসেছেন পুরনো ক্লাবের টানেই। এক সময় সান্তোসের হয়ে দুনিয়া কাঁপিয়ে পরে নাম লিখিয়েছিলেন নিউইয়র্ক কসমসে। আর এখন এই আমেরিকান ক্লাবেরই সম্মানিত সভাপতিও পেলে। ক্লাবের নতুন জার্সিসহ আরো বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা সাড়তে আসলেও, এড়াতে পারেননি প্রিয় শিষ্য নেইমার প্রসঙ্গ। বহু আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলে, ক্লাব ফুটবল খেলতে মাত্রই লাতিন আমেরিকা ছেড়ে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন নেইমার। আর সেজন্য কিংবদন্তি এই ব্রাজিলিয়ানের কাছ থেকে প্রশংসাই পেয়েছেন তিনি।
সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার বলেন, ‘ফুটবলের জন্য এটা দারুণ খবর, তবে সান্তোসের জন্য নিশ্চয়ই ব্যাপারটা মেনে নেয়া খুব কঠিন ছিলো। তার প্রতিভা আছে এবং সে খেলেও ভালো। আর সে জন্যই তার ইউরোপে যাওয়া উচিৎ, কারণ ওখানে সে নিজেকে পরিণত হয়ে উঠবার জন্য, অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবে। তার জন্য আমার শুভকামনা রইলো, আশা করি নিশ্চয়ই সে আবারো সান্তোসে ফিরবে।’
আরেক কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ অবশ্য, আগেই সতর্কবানী উচ্চারণ করেছিলেন- বার্সার জন্য মেসি-নেইমার, শেষ পর্যন্ত এক জাহাজে দুই নাবিকের মতই হয়ে যান কিনা। যদিও ফুটবল ভক্তরা মাঠে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথের বদলে, সৃজনশীল কিছু দেখতেই মুখিয়ে আছেন। তবে বার্সার জার্সি গায়ে চড়িয়ে মাঠে নামবার আগেই যেন নেইমারকে তাতিয়ে তুলতে চাইলেন পেলে।
তিনি বলেন, ‘তার বিচার করতে বলা হলে বলবো, নেইমার এক ক্লাবের হয়ে মেসির মত টানা ১০ বছর খেলেনি। তার সব অর্জনই শেষ ২ বছরের। সে পায়ের কাজটা ভালোই পারে। আর হাওয়ায় ভেসেও দারুনভাবে শরীরটাকে ব্যবহার করতে পারে। আসলে একটা কথাই বলা সম্ভব, দু’জনেই ভালো ফুটবলার। দু’জনকেই অসম্ভব পছন্দ করি আমি। তুলনা করতে হলে আমি বলবো, মেসির চেয়েও ভাল খেলোয়াড় হবার সম্ভাবনা আছে নেইমারের।’
আপাতত ব্রাজিলের জার্সি গায়েই নেইমারকে উড়তে দেখতে চান, পেলে। কেননা ১৫ জুন কনফেডারেশন কাপে জাপানের মুখোমুখি হবে, ফিফা র্যাংকিং-এর উনিশতম স্থানে থাকা ব্রাজিল।