রীতিমতো জমকালো একটা পরিবেশ। মঞ্চে কয়েক জন তরুন-তরুনী ঝলমলে আলোর মধ্যে প্রতীকি ফুটবলও খেললেন। দেখে মনে হল, বড় একটা আয়োজনের শুরু। আসলেই তাই। এরকম জমকালোভাবেই আজ বৃহষ্পতিবার হয়ে গেল সুপার কাপের ড্র অনুষ্ঠান।
সুপার কাপের ড্র শেষে দেখা গেল ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে শেখ রাসেল, আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধা এবং সকার ক্লাব। অপরদিকে ‘বি’ গ্রুপে ঠাঁই পায় শেখ জামাল, বিজেএমসি, মোহামেডান এবং ব্রাদার্স। ১৪ জুন বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকাল পাঁচটায় শেখ রাসেল ও সকার ক্লাব এবং সন্ধ্যা সাতটায় আবাহনী ও মুক্তিযোদ্ধা মুখোমুখি হবে।
আট দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করার ড্রয়ে ক্লাবগুলোর নাম তুলেছেন বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহীম, সাবেক তারকা ফুটবলার ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি আরিফ খান জয় ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন। এবার একটু ভিন্ন আঙ্গিকে ড্র হয়েছে। দুইটি করে দলকে চারটি পাত্রে রাখা হয়। সেখান থেকে একটি করে নাম তুলে ঘোষণা করেন কর্মকর্তা ও সাবেক ফুটবলাররা। আবদুর রহীম তুলেছেন আবাহনী ও বিজেএমসির নাম, ইলিয়াস হোসেন তুলেছেন মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধার নাম, জয় তুলেছেন ব্রাদার্স ও সকার ক্লাবের নাম এবং সালাম মুর্শেদী তুলেছেন শেখ রাসেল ও শেখ জামালের নাম।
মিউজিকের সাথে এক ডজন মডেল কন্যাকে নিয়ে ‘ক্যাটওয়াক’ এ অংশ নেন শেখ রাসেলের অধিনায়ক বিপ্লব, শেখ জামালের হাসান আল মামুন, মোহামেডানের মতিউর মুন্না, আবাহনীর ওয়ালী ফয়সাল, বিজেএমসির অমিত খান শুভ্র, ব্রাদার্সের ইউসুফ আলী এবং মুক্তিযোদ্ধার অধিনায়ক জহিরুল ইসলাম।
টুর্নামেন্ট এবার চ্যাম্পিয়নদের জন্য এক কোটি টাকার পুরস্কার থাকছে না। এটি কমিয়ে করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি অনুষ্ঠানের পর জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কারের টাকা কমলেও পুরো টুর্নামেন্টের পুরস্কারের অর্থ আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে ছিল এক কোটি ২০ লাখ টাকা এবার সেটা ছাড়িয়ে যাবে দুই কোটি টাকার উপরে। কারণ চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ ছাড়াও প্রত্যেক দল পাবে ১৫ লাখ টাকা করে।
প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমের অর্ধেকটা জুড়ে সুপার কাপের ড্র অনুষ্ঠিত হলো। ক্লাবগুলোর কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় কোচসহ সবার উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ ছিল এ অনুষ্ঠান। ফুটবলের যে কর্মকর্তারা গত ছয় মাসেও বাফুফে ভবনে আসেননি তাদেরই কাল দেখা গেল সামনের চেয়ারে বসেছেন। কেউ কেউ আবার বাফুফে সভাপতির পাশেই। তাই জায়গা হয়নি বাফুফের সদা সক্রিয় অনেক কর্মকর্তার। কালকের এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দুই সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও তাবিথ আওয়াল।