শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা মামলার রায় জুনে

বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা মামলার রায় জুনে

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা জানান।

ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে শাহরিয়ার আলম বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আলোচনা চলতে থাকে। উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা আইন-১৯৮২র অধীনে ভারতকে আরবিট্রেশনের নোটিশ দেয়।
এই আরবিট্রেশন নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। এই ট্রাইব্যুনালে দুই পক্ষের মনোনীত পাঁচজন বিচারক রয়েছেন। দুই পক্ষই ট্রাইব্যুনালে তাদেরও লিখিত আর্জি পেশ করেছে। লিখিত আর্জি জমা দেওয়ার পর গত বছরের ৯-১৮ ডিসেম্বর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানিতে পররাষ্ট্রমমন্ত্রী ও বাংলাদেশের আইনজীবী দল অংশ নেয়। মামলার রায় ২০১৪ সালের জুন মাসে ঘোষণার কথা রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দুই দেশের সমুদ্রসীমা  সংক্রান্ত মামলার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হবে।
কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার পরপরই বিদেশে সকল বাংলাদেশি দূতাবাসে ব্রিফিং নোট পাঠানো হয়। ব্রিফিং নোটে বলা হয়েছে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ ও মানবতাবিরোধী সুনির্দিষ্ট অপরাধের কারণে দেওয়া হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ মান ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে এবং ন্যায়বিচারের সব পন্থা যথাযথভাবে শেষ করে দণ্ড দেয় ও কার্যকর করে। এ ছাড়া বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আপিলের অধিকার দেওয়া হয়েছে যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে নেই। এ সব পদক্ষেপের কারণে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাপরাধের রায় নিয়ে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ মো. ইস্রাফিল আলম মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর পাকিস্তানের বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না। উত্তরে শাহরিয়ার আলম জানান, কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে এ বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে যথাযথ কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনার আফ্রাসিয়াব মেহেদি হাশমিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় এং পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদে প্রস্তাব গ্রহণ বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। এতে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেও জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।
কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে জানিয়ে সংসদে শাহরিয়ার আলম বলেন, দেশগুলো মৃত্যুদণ্ডাদেশ পরিহারের অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের নিজস্ব আইনী ব্যবস্থার অন্তর্গত এবং বিশ্বেও অনেক দেশেই মৃত্যদণ্ডাদেশ বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ