শুক্রবার, মে ২৪, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলা : আদালতে এরশাদ

জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলা : আদালতে এরশাদ

আদালত প্রতিনিধিঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কে অংশ নিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন মামলার প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

বুধবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে সরকারি প্রটোকল নিয়ে পতাকা লাগানো গাড়িতে চড়ে আদালতে উপস্থিত হন এরশাদ। অপর দুই আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতে আগেই উপস্থিত হন।

এরশাদের সাথে এসেছেন তার ছোট ভাই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের। তবে এই মামলায় আগের প্রত্যেকটি হাজিরায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার এরশাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকলেও আজ তাকে দেখা যায়নি।

বুধবার বেলা এগারোটায়  মঞ্জুর হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক  (আর্গুমেন্ট) শুরু হওয়ার কথা ছিলো। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

গত বছরের ২৪ নভেম্বর এ মামলায় শুরু হয় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক । কিন্তু তখন যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচিকে লিখিত যুক্তিতর্ক দাখিল করার নির্দেশ দিয়ে  ২২ জানুয়ারি ফের রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তারের আদালতে মামলাটির বিচার চলছে।

২০ নভেম্বর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন মামলার প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় আদালতে হাজির ছিলেন এরশাদ।

একই সঙ্গে হাজির ছিলেন অপর দুই আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়াও। আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।

চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি জিয়া হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।  মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ওই বছরের ১৫ জুলাই তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা দায়েরের ১৮ বছর পর মামলাটি বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

মঞ্জুর হত্যা মামলায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ