শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়দোহারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত ৫

দোহারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত ৫

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

ঢাকার দোহারের বিলাসপুর এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন সহ ৫ আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে মহিলাসহ অন্তত ১৫ জন। গুরুত্বর আহত ৯ জনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকালের সংসদ নির্বাচন বিলাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল মান্নানের নৌকা ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের সালমা ইসলামের পক্ষে নির্বাচন করে।

নির্বাচনের ফলাফলের পরপরই গতরাতে বিলাসপুরের বিভিন্ন স্থানে উভয়পক্ষেরে সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে নির্বাচনে হেরে যাওয়া নৌকার পক্ষে থাকা হুকুম আলী চোকদারের পক্ষের  রাশেদ চোকাদারের নেতৃত্বে দুই শতাধিক যুবক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে লাঙ্গলের পক্ষে থাকা আলাউদ্দিন মোল্লার লোকজনের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে ।

হামলার সময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ কর্মী মোকছেদ খন্দকার ও তার ছেলে মাসুদ খন্দকার সহ ১৫/২০ জন আহত হয়।

আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর মকবুল, মোকছেদ ও মাসুদ মারা যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায় আসলাম মোল্লা ও রেজাউল নামে আরো দুজন আওয়ামী লীগ কর্মী মারা যায়। আরো ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের এলাকায় র‌্যাব-পুলিশ-সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঢাকা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌছেছেন।

এ ঘটনার পর এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে। হাজার বিঘা এলাকার রাস্তা জুড়ে এখন শুধু ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। আর নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘিরে রেখেছে। এ ঘটনায় হামলার সাথে জড়িত চোকদার পক্ষের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিলাসপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেবিনগর গ্রামের আজিজ চোকদারের ছেলে আনোয়ার চোকদার, একই গ্রামের নূর আলীর ছেলে খোকন হোসেন ও তোতা মিয়া।

দোহার থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, মোল্লা ও চোকদারের মধ্যে দ্বন্দ দীর্ঘদিনের। গতকালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ দ্বন্দ আরো চরমে পৌছেছিল। যে দ্বন্দের বহিপ্রকাশে এ ঘটনা ঘটলো। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপশি টহল দিচ্ছে বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা।

ঘটনার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া র‌্যাব-১১ এর ডিএডি আমিনিুল ইসলাম বলেন, আমরা জয়পাড়া এলাকায় টহল দিচ্ছিলাম। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখি দুই শতাধিক যুবক রামদা, হকস্ট্রিক সহ দেশীয় অস্ত্রনিয়ে অবস্থান করছে। তখন তাদেরকে আমরা ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেই। এর আগেই হামলার ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ