রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউশনিবার থেকেই সব ভোটকেন্দ্রের চারদিকে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’

শনিবার থেকেই সব ভোটকেন্দ্রের চারদিকে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

দশম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শনিবার থেকেই সব ভোটকেন্দ্রের চারদিকে ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী’ গড়ে তুলতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় ইসির উপ সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, ভোটকেন্দ্রের চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সব ধরনের যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল সীমিত করতে হবে। ভোটকেন্দ্রের চারপাশে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের টহল জোরদার করতে হবে। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর‌্যন্ত একটানা ভোট চলবে। আর ভোট ঠেকাতে বুধবার থেকে সারা দেশে লাগাতার অবরোধ শুরু করেছে বিরোধী দলীয় জোট।

বিরোধী দলের বর্জনের কারণে ১৫৩ আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় ৫ জানুয়ারি ১৪৭টি আসনে ভোট হবে, যাতে ভোটকেন্দ্র আছে ১৮ হাজার ২০৯টি। ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন ভোটার সেদিন ৩৯০ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ব্যালট পেপার পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও কমিশনের কর্মকর্তারা জানান।

ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল সংরক্ষণ, সহকারী রিটার্নিং কার‌্যালয়ে পাঠানো ও কেন্দ্রভিত্তিক বণ্টনের কাজ সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে শেষ করতে হবে। ভোটের আগের দিন শনিবার প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ব্যালট পেপারসহ মালামাল গ্রহণ করে কেন্দ্রে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যসহ অবস্থান করবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। ভোটে বাধা দিলে দুই থেকে সাত বছরের দণ্ড । নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে নির্বাচনী প্রচার শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। এ বিষয়ে ইসি  বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, নির্বাচনী আইন মেনে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর‌্যন্ত কোনো সভা, সমাবেশ বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। এই সময়ে বিশৃঙ্খল আচরণ, ভোটে বাধা দেয়া বা নির্বাচনী কাজে দায়িত্বরতদের ভয়ভীতি দেখানো এবং অস্ত্র ও শক্তি প্রদর্শন করা হলে জেল-জরিমানার বিধানও রয়েছে আইনে। কেউ বিধান লঙ্ঘন করলে ন্যূনতম ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দেয়া হবে।

চার জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত পর‌্যন্ত অননুমোদিত যান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। প্রার্থী, এজেন্ট, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, প্রশাসন, অনুমতিপ্রাপ্ত পর‌্যবেক্ষক ও সাংবাদিক বহনকারী গাড়ি এবং জাতীয় হাইওয়েতে চলাচলকারী বাহনের ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিল থাকবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ