বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়নির্বাচনে ব্যয় তিনশ কোটি টাকা

নির্বাচনে ব্যয় তিনশ কোটি টাকা

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় প্রাথমিকভাবে সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা ধরা হলেও অর্ধেকের বেশি আসনে ভোট না হওয়ায় কমবে এই ব্যয়। এবার তিনশ আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৫৪ জন প্রার্থী। ফলে বাকি ১৪৬টি আসনে নির্বাচন হলে খরচ অনেক কমবে এবং তা তিনশ কোটি টাকার কম হতে পারে বলে ধারণা করছে কমিশন। তবে চূড়ান্ত হিসাব দুইএকদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। তবে নবম সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে ব্যয় এই ১৪৬টি আসনের চেয়ে কম ছিল। ওই নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি খাতেই বেড়েছে ব্যয়।

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ জানান, গত নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবারের নির্বাচনে ভোটার, ভোট কেন্দ্র ও এর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বেড়েছে। তাই বেড়েছে ব্যয়ের পরিমাণও। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬৫ কোটি ৫০ হাজারের বেশি খরচ হয়েছিল। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা খাতে খরচ হয়েছিল ৯৭ কোটি টাকা। তবে এই খাতে এবার খরচ বাড়বে।

প্রতিটি খাতেই বাড়ছে ব্যয়: এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বেষ্টনী নির্মাণ, ভোটকক্ষ প্রস্তুত, কেন্দ্র সংস্কারসহ এ বিভিন্ন কাজে কেন্দ্র প্রতি দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ ধরা হয়েছে। গত নির্বাচনে এই বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৫০০। এবার অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র প্রতি খরচ ধরা হয়েছে সাত হাজার টাকা। গত নির্বাচনে যা ছিল তিন হাজার টাকা। ৩০০ আসনে নির্বাচন হলে ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র থাকার কথা থাকলেও এখন ভোট হবে-এমন আসন কমে যাওয়ায় ভোটকেন্দ্র কমে হচ্ছে ১৮ হাজারের কিছু বেশি। রিটার্নিং কর্মকর্তার ডাক, ফ্যাক্স আপ্যায়ন ও আনুষঙ্গিক খরচ ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৫০, ৪৫ ও ৪০ হাজার টাকা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ খাতে ব্যয় ছিল ৩৫ হাজার টাকা। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এ খরচ ৩০ হাজার টাকা।

রিটার্নিং অফিসারের পিওএল, স্পিড বোট, জলযান, ট্রলার, ট্যাক্সি, ভ্যানভাড়া বাবদ ধরা হয়েছে ৮৫ হাজার, যা গতবারের তুলনায় ১০ হাজার বেশি। সহজারী রিটার্নিং এর ক্ষেত্রে গতবারের তুলনায় ৪৫ হাজার বাড়িয়ে নির্ধারণ হয়েছে ৮৫ হাজার।

জেলা নির্বাচন অফিসারের জন্য যানবাহন ভাড়া বাবদ ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আগে এর পরিমাণ ছিল ২০ হাজার। একই খাতে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের ব্যয় ১৫ হাজার। যা গতবারের থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি। নির্বাচনী ফল সংগ্রহের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন, মাইকভাড়া, বোর্ড, মাল্টিমিডিয়া, আপ্যায়নবাবদ ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে। আগে এর পরিমাণ ছিল ৮ হাজার টাকা।

নির্বাচনি কার্যক্রম তদারকিতে বিভাগীয় কমিশনারের ব্যয় ৪০ হাজার টাকা, যা গতবারের দ্বিগুণ। আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের ব্যয় গতবারের থেকে ১০ হাজার বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ হাজার। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্যয় প্রত্যেকের প্রতিদিনের জন্য ৫ হাজার। আগে ছিল এলাকাভিত্তিক ১০ হাজার। নির্বাচনের মনিটরিং টিমের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতি জেলাভিত্তিক ৫০ হাজার করে।

মাঠ পর্যায়ে কমিশনের মতবিনিময় বৈঠকের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে গড়ে ১০টি বৈঠকের জন্য ৫০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনের সময় এই খরচ ছিল ৫ হাজার টাকা।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য সম্মানী বাড়ানো হয়েছে। এ হিসেবে প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার টাকা। আগে ছিল ১ হাজার। এছাড়া সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সম্মানী সাতশ থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার এবং পোলিং অফিসারের সম্মানী ৬০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ