চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে চলছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৮৩ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন। অবরোধের মধ্যে নগরী ও জেলায় যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক থাকলেও ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলও প্রায় বন্ধ আছে। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত কোথাও কোন পিকেটিং, মিছিল-সমাবেশের খবর পাওয়া যায়নি। অপ্রীতিকর কোন ঘটনারও খবর মেলেনি। চট্টগ্রামের কোন প্রবেশপথে অবরোধের সমর্থনে নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়নি।
তবে অবরোধ কর্মসূচীতে সহিংসতা মোকাবেলায় কঠোর অবস্থানে আছে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরীতে প্রায় দু’হাজার দু’শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। জেলায়ও মোতায়েন আছে প্রায় তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়া নগরীতে ছয় প্লাটুন বিজিবি সদস্যকে সহিংসতা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার সীতাকুণ্ডে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন আছে। অন্যান্য উপজেলার জন্য আরও ছয় প্লাটুন বিজিবি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান বলেন, ‘সহিংসতা মোকাবেলায় আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে। আশা করি কেউ অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটাতে পারবেনা।’ নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাস, অটোরিক্সা, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের চলাচল স্বাভাবিক আছে। দোকানপাটও খুলেছে। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। নগরীতে ব্যক্তিগত যানবাহন কিছুটা কম দেখা গেছে। শিডিউল নিয়ে সমস্যার কারণে ট্রেন চলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য উঠানামা স্বাভাবিক আছে। ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে চলাচল করছে। পণ্যবোঝাই পরিবহন বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছাড়তে দেখা গেছে, তবে এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।
চট্টগ্রামের সঙ্গে বাইরের জেলার যোগাযোগ সংকটের মুখে পড়লেও অভ্যন্তরীণ উপজেলার সঙ্গে নগরীর যোগাযোগে তেমন বড় কোন সংকট নেই। অবরোধের মধ্যেও উপজেলার উদ্দেশ্যে নগরী ছাড়ছে বিভিন্ন যানবাহন। তবে জেলার উদ্দেশ্যে দূরপাল্লার বাস তেমন চলাচল করছেনা।