জুলাই আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। ভবিষ্যতে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাখতে ও নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে আজ (শনিবার, ১১ জানুয়ারি) ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। চোরতন্ত্র তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা। বড় বড় কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেওয়া ছিল তার কাজ। সে সময় বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এখন সেই টাকায় প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, সেই সাথে দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে জুলাই আন্দোলনের ইতিহাস বই আকারে সংরক্ষণ করে রাখা খুবই জরুরি।
এসময় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘বৈশ্বিক রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন। জুলাই আন্দোলনের মূল ছিল ফ্যাসিবাদ দূর থেকে রাষ্ট্র সংস্কার করা। সেই মূল উদ্দেশ্য এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা বৃহত্তম জেলখানা, বৃহত্তম গোরস্থান তৈরি করেছিল। এতেই বোঝা উচিত ছিল, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল। শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী তারা ফ্যাসিবাদের এক ধরনের সহযোগী ছিল। ফ্যাসিবাদ কোনও প্রতিষ্ঠান নয়, ফ্যাসিবাদ হলো জমিদারি ও কর্তৃত্ব। আমরা সেই জমিদারি ও কর্তৃত্বের অবসান করতে চাই। আমাদের ভিশনটা (লক্ষ্য) হবে জাতীয় ও জনগোষ্ঠীর স্বার্থকেন্দ্রিক।
জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন কিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জবি সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি আসাদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।