রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে আটকের পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে অসুস্থতাসহ অন্যান্য দিক বিবেচনায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মুন্নী সাহাকে পুলিশ আটক করেনি। কাওরান বাজারে স্থানীয় লোকজন তার ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে ঘেরাও করেছিল। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে সেখান থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তবে তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি অসুস্থ আছেন। তাই জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে আইসিটি বিভাগের ‘ভিশন-২০২১ টাওয়ার’ (সাবেক জনতা টাওয়ার) থেকে বের হওয়ার সময় তাকে ঘিরে ধরে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মুন্নী সাহাকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়।
এর আগে, গত ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সবধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে মুন্নী সাহার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম। সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাত জন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে, তাদের একজন মুন্নী সাহা।
টেলিভিশন সাংবাদিক ও টকশো সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত মুখ মুন্নী সাহা। তিনি আজকের কাগজ ও ভোরের কাগজে দীর্ঘ সময় কাজ করার পর একুশে টেলিভিশনে যোগ দেন। এরপর যান এটিএন বাংলায়। সেখান থেকে এটিএন নিউজে যোগ দেন তিনি। ২০২৩ সালের ৩১ মে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামে একটি প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হন।