গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানোর চেষ্টা করবেন না। আওয়ামী লীগ নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তার গর্তের মধ্যে লুকিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোববার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টায় গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ২০২৪ ও ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
রাশেদ বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর প্রায় ৩০ হাজার বিএনপি, জামায়াত ও গণঅধিকার পরিষদসহ ভিন্নমতের মানুষকে আটক করা হয়। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর ৩০০০ আওয়ামী খুনিদের আটক করা হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানোর চেষ্টা করবেন না। এই দলটি গণহত্যার সাথে জড়িত, ছাত্রলীগের আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা দরকার ছিল। কেন খুনিদের গ্রেফতার করছেন না? আপনারা কি আওয়ামী লীগকে ধরতে ভয় পাচ্ছেন? এই দেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে বলব, পুলিশ আওয়ামী খুনিদের আটক না করলে, আপনারা এই খুনিদের ধরে পুলিশ দেন।
রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা রাজপথে নামার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে গণঅধিকার পরিষদ। আওয়ামী লীগের ঠিকানা বাংলাদেশে আর হবে না। গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি একটি ফ্যাসিবাদী দল। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে এখনও নিষিদ্ধ করা হয়নি। এরশাদের নেতৃত্বে নূর হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জাতীয় পার্টির রাজনীতিকে জিইয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি দল প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু সেই হত্যাকারীদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অনতিবিলম্বে এ গণহত্যায় জড়িত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ লীগ, র্যাব লীগ যারাই ছিল তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।