যে লক্ষ্যে ‘নৃত্যপট’ যাত্রা শুরু করলো তা যেন অবিরাম সৃজনে পথ চলতে পারে এই কামনা আমরা লালন করছি সবার প্রতি রইল নিরন্তর নৃত্যপট মূলত নৃত্যশিল্পের চর্চাকারী প্রতিষ্ঠান তবে নৃত্যের সঙ্গে সঙ্গীতের মেলবন্ধের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ‘সঙ্গীত’ চর্চায়ও আমরা অনুপ্রবেশ করবো অর্থ্যাৎ নৃত্যপট সঙ্গীত ও নৃত্য চর্চায় সমানতালে এগিয়ে যাবে নৃত্য-সঙ্গীত শুধু বিনোদনের বিষয় নয় সৃজনশীলতা, নবভাবনা ও সত্য সুন্দরের বিষয় আমাদের উদ্দেশ্য সমাজের অন্ধবিশ্বাস ও বদ্ধমূল ধারনা কে ছিন্ন করে শিল্পের আলোয় সমাজকে আলোকিত তথা জাগ্রত করা আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশে সংস্কৃতি-চর্চার বিকল্প নেই. নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিয় লালন করতে হলে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিচরণ করা খুবই প্রয়োজন আর এ-লক্ষ্যেই ১৯৯৯ সালের ১৮ই অক্টোবর প্রতিষ্ঠা ‘রঙ্গপীঠ নাট্যদল’ যা এ বছর পূর্ণ করলো নান্দনিক শিল্পযাত্রার দীর্ঘ পঁচিশ বছর।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ মূলত এই ভাবনার সূত্র ধরে আগামী প্রজন্মকে সুস্থ সংস্কৃতি-চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৩ সালের ১লা মার্চ প্রতিষ্ঠা আরেকটি প্রাণের সংগঠন ‘রঙ্গপীঠ শিশুদল’। যেখানে ছোট্ট ছোট্ট সোনামনিরা নাটক ও আবৃত্তিশিল্পের ধারাবাহিক চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে তথা জাতীয় পর্যায়ের প্রায় সকল অনুষ্ঠানে নিয়মিত সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দলের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে চলেছে শিল্পের বিকাশে সংস্কৃতি-চর্চার কোন বিকল্প নেই নাটক ও আবৃত্তিশিল্পের সঙ্গে আমাদের পথচলা নিরবিচ্ছিন্নভাবে থাকলেও প্রায়শই আকাঙ্খা শিল্পকলার দুটি অত্যন্ত জনপ্রিয় শাখা ‘সঙ্গীত’ ও ‘নৃত্যশিল্পার সংস্পর্শে আসা আর এই দীর্ঘদিনের আকাঙ্খার সফল বহিঃপ্রকাশ আজকের এই ‘নৃত্যপট’। যার শুভারম্ভের এই স্মারণিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছি আমরা ‘রঙ্গপীঠ পরিবার’।
যাঁরা নৃত্যপট এর শিল্পমাত্রার সহযাত্রী হয়েছেন যাঁদের তাদের অভিষেক রঙ্গপীঠ শিশুদলের নব নির্বাহীপর্ষদের সঙ্গে পারিচিতি এবং রঙ্গপীঠ আজ নাট্যদলের সাড়া জাগানো নাটক শাদী পায়গাম এর ২০তম মঞ্চায়ন দিয়ে সাজানো হয়েছে নৃত্যপট এর শুভারম্ভ অনুষ্ঠান। আমাদের প্রত্যশা শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সফল কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে সংগঠনগুলো তাদের স্ব স্ব ভাবভূর্তি অক্ষুন্ন রাখবে। পরিশেষে, নবগঠিত দুই কার্যনির্বাহী পর্ষদের সকল সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।