ভারতের মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করলে ঠেকানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাবলিগের সাধারণ সাথী ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামারা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলনে বক্তব্যের সময় আলেম-ওলামারা এ কথা বলেন।
সম্মেলনে নয় দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। নয় দফা ঘোষণায় বলা হয়, তাবলিগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। ২০১৮ সালে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে সাদপন্থীদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মাওলানা সাদকে এদেশে আসতে দেওয়া হবে না। আলেমপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। কাকরাইল মসজিদ আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামের অধীনে পরিচালিত হবে এবং অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
ময়মনসিংহের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী বলেন, কোনো সন্তান বাবাকে হত্যা করলে তার বাবার ওয়ারিশানা যেমন পায় না; তেমনি মাওলানা সাদও তার পিতার আদর্শকে হত্যা করেছেন। তাই তিনিও তার পিতার ওয়ারিশানা পাবেন না।
এদিকে, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম পর্বে শুরায়ি নেজামের অধীনে তাবলিগের সাথী, আলেম-উলামা ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অংশ নেন। তবে এবার মাওলানা সাদের অনুসারীরা দাবি করছেন, তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চান। এই দাবি নিয়ে শুরায়ি নেজামের তাবলিগের সাথী, কওমি মাদরাসার আলেম-উলামা ও সাধারণ মানুষ বিরোধিতা করেন এবং তাদের পক্ষ থেকে ইসলামি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।