মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপটিয়ার হাইদগাঁওয়ের জিতেন কান্তির ব্যাংক জালিয়াতিসহ নানান অপকর্ম

পটিয়ার হাইদগাঁওয়ের জিতেন কান্তির ব্যাংক জালিয়াতিসহ নানান অপকর্ম

পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের  ঘর নিয়ে লাখ লাখ টাকা  প্রতারণায় আওয়ামীলীগ থেকে অব্যহতিপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করে ভারতে পাঁচার করা জিতেন কান্তি গুহ’কে গাছে বেঁধে পিটানোর সাজানো নাটকের নেপথ্যে হিন্দু-মুসলিম দাংগা লাগিয়ে নিজের স্বার্থ হাছিলের চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীদের সুত্রে জানা গেছে, কোন এক সময়কার পানের বরজে দৈনিক হিসেবে দিনমজুরের কাজ করা পিতা বাদল কান্তি গুহ উরফে বাদল চন্দ্র গুহ আর মাতা নিধু কান্তি গুহ’র গুণধর পুত্র জিতেন কান্তি গুহ ওরফে চিটার জিতেন। যেভাবেই হোক এক সময় পাড়ি জমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে। কু-কর্ম যার চারিত্রিক বৈশিষ্ট সে কি আর সৎভাবে জীবন যাপন করতে পারে? ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের  জেরে চলে আসে বাংলাদেশে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য দাতা সংস্থার মাধ্যমে  পাওয়া কয়েক লাখ খানেক টাকায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জস্থ নবীমার্কেটে নামকা ওয়াস্তে ঢেউ টিনের দোকান দিয়ে শুরু করেন ঋণ জালিয়াতিসহ এলাকার নিরীহ  মানুষের  জমির দালালী আর ভূমি দখলের মতো নানান  প্রতারণার ব্যবসা। ক্রমশ:  প্রতারণায় হাত পাকিয়ে দক্ষ এক প্রতারকে পরিণত হয় জিতেন। এই চিটার জিতেন কান্তি গুহ তার স্বার্থ হাসিলে নিজ হিন্দু ধর্মকেও অবলীলায় বিকিয়ে  দিতে গায়ে বাঁধেনি তার।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে কিছু টাকা পয়সা হওয়ার পর জিতেনের চেয়ারম্যান হওয়ার খায়েশ জাগে। সেবার নির্বাচনে দাড়ালেও গো-হারা হারতে হয়। রাজনীতির খাতায় নাম লিখিয়ে পাক্কা আওয়ামী লীগার হওয়া জিতেনের নানান দূর্নীতির কারণে পরের বার তাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নমিনেশনই দেয়া হয়নি। অত:পর চেয়ারম্যান মেম্বার হওয়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে পূর্ন উদ্যমে ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামীলীগের  নাম ভাঙ্গিয়ে বাটপারি, জালিয়াতি, ভূমিদস্যুতাসহ নানান প্রতারণায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। জালিয়াতি-আর প্রতারণার লাখ লাখ ছাড়িয়ে কোটি কোটি টাকায়  ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে জিতেন। রাতারাতি  আলাদিনের চেরাগ  পাওয়ার মতো নামে বেনামে ব্যাংক ব্যালান্স আর বাড়ি-ঘর মিলিয়ে টাকার কুমিরে পরিণত হয় এই জিতেন। একই সাথে ভারতে টাকা পাঁচারসহ পশ্চিমবঙ্গের বারাসত এলাকায় নিজস্ব বাড়িও তৈরী করেছে। একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে ইতোমধ্যে জিতেন ভারতীয় পাসপোটর্ও তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। সেখানকার নিজস্ব মোবাইল নম্বর দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা লগ্নি করে রীতিমতো ব্যবসা খুলে বসেছে ভারতে।

ভূক্তভোগীসূত্রে জানা গেছে, জিতেন নিজেও বলতে পারবেনা তার নিজ এলাকায় এ পর্যন্ত কতগুলো ভূমি জালিয়াতি করেছে। তার নিজ ধর্মের ২ নং ওয়ার্ড হাইদগাঁওয়ের কেশব চন্দ্র দেবের পুত্র মিলন দেব ওরফে মিলন ঘোষ এবং একই এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের শান্তিপদ এবং ৫ নং ওয়ার্ডের সুনিল সেনের সম্পত্তি গ্রাস করে নিয়েছে এই  জিতেন। বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এসব ভূক্তভোগীরা।

অত:পর হাইদগাঁও ইউনিয়নে  প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দরিদ্রদের  জন্য উপহার স্বরূপ ৪০টি ঘর নিয়ে প্রতারণার জাল বুনে মাঠে নেমে পড়ে জিতেন। নিরীহ দরিদ্র মানুষের কাছে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিতে থাকেন প্রতারক জিতেন। যারা  টাকা দিতে পারেনি তাদের  তালিকা থেকে বাদ দেয়া সহ নানান হুমকি ধামকি দিয়ে উৎকোচ দেয়া তালিকার বাইরের মানুষকে ঘর বরাদ্দের আশ^াস দেন। এক্ষেত্রে তার  নিজ ধর্মের হিন্দুরাও  রেহাই পায়নি। তন্মধ্যে মঞ্জু দত্ত, বিজলী চৌধুর, বাসু চৌধুরী,পার্থ চৌধুরী, রতন চৌধুরীর পরিবারও রয়েছে। এভাবে টাকা দিয়ে ঘর না পাওয়া এবং গণহারে  ঘুষ নেয়ার বিষয়টি সর্বত্র জানাজানি হলে  তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। জিতেনের এমন অপকর্মে আওয়ামীলীগের ইমেজ ক্ষুন্ন হওয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়ার নামে জিতেনের লাখ লাখ টাকা মেরে দেয়ার বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হয়। টাকা দিয়ে প্রতারিত হওয়া এসব দরিদ্র এলাকাবাসী ক্ষুব্দ  হয়ে উঠলে বেগতিক দেখে জিতেন  গাঁ-ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যায়।

জিতেনের ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পালিয়ে থাকার  অধিকাংশ সময় জিতেন ভারতে অবস্থান করে সেখানে তার বিজনেস এবং বাড়িঘর নিয়ে ব্যস্ত  ছিল। সুত্রটি আরো জানায়, কমিটি ভেঙ্গে  দেয়ার দীর্ঘদিন পর নতুন গঠিত কমিটি ইফতার পার্টির আয়োজন করে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকাবস্থায় কতিপয় নেতা-কর্মীকে টাকায় ম্যানেজ করে তাদের আশ^াসের ভিত্তিতে ইফতার পার্টিতে এসে উপস্থিত হয় চিটার জিতেন। অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া পাওনাদারদের মুখোমূখী হলে উল্টো দূর্ব্যবহার শুরু করেন জিতেন। এতে  পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও মারমূখী হয়ে উঠে। তার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূক্তভোগীদের একজনের গায়ে হাত তুললে অত্র হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনি সম্পাদক ইন্দ্রজিত এগিয়ে আসেন। জিতেন উত্তেজিত হয়ে তার উপর  ঝাঁপিয়ে পড়লে আত্মরক্ষার্থে ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিউ পাল্টা জবাব দেন। এক পর্যায়ে পাওনাদারদের রক্ষায় ইন্দ্রজিত জিতেনকে চড় মারেন। গোটা পরিস্থিতিটাই হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূক্তভোগী এবং জিতেনের মধ্যে গড়ায়। ইতোমধ্যে জিতেনের  ভাড়াকরা লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জিতেনকে অনুষ্ঠানস্থলের অদূরে  গাছের খুঁটিতে  বেঁধে মারপিটের নাটক সাজায়। গোটা ঘটনার প্রায় পৌনে এক ঘন্টাপর খবর পেয়ে চেয়ারম্যান বিএম জসিম ছুটে আসেন।তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জিতেনকে মুক্ত করেন। ইতোমধ্যে গাছে বাঁধা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে বর্বর এক খেলায় মেতে উঠেন নরাধম জিতেন। সমগ্র ঘটনাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূক্তভোগীদের টাকা মেরে দেয়া এবং তা ভাগাভাগি নিয়ে  হলেও বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের লক্ষে ধূর্ত জিতেন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোককে মুসলমান কর্তৃক গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা হিসেবে জাহির করে। দ্রুত তা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। উপকারীকে বাঘে খায়’- প্রবাদের মতো গণরোষ থেকে বাঁচিয়ে দড়িবাঁধা জিতেনকে উদ্ধার করে  চেয়ারম্যান বিএম জসিম প্রতিদান হিসেবে পেলেন কঠিন এক মামলা যেখানে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে তাকে গাছে বেঁধে মারপিট করেছে চেয়ারম্যান বিএম জসিম। চিটার জিতেন নিজের অপরাধ ঢাকতে হিন্দু ধর্মকে বিকিয়ে পুরো ঘটনাকে হিন্দু-মুসলিম দাংগায় পরিণত করতে  না পারলেও গণমাধ্যমে চেয়ারম্যান বিএম জসিম কর্তৃক নির্যাতনের বানোয়াট কথাটাই উঠে এসেছে।

প্রশ্ন উঠেছে একটি মাত্র ছবি দিয়ে কি করে প্রমাণ হয়  চেয়ারম্যান চিটার জিতেনকে পিটিয়েছেন? বেঁধে রাখা জিতেনের ছবি থাকলে চেয়ারম্যান জসিম পিটাচ্ছেন তার ছবি কোথায়? সেদিনের প্রত্যক্ষ্যদর্শী একজনও পাওয়া যায়নি যারা চেয়ারম্যান জসিম নির্যাতন করছেন মর্মে বলেছেন। তারা প্রত্যেকেই সরল জবানবন্দী দিয়েছেন -“মেরে দেয়া টাকা নিয়ে জিতেনের সাথে বাকবিতন্ডা এবং তাকে গাছে বেঁধে রাখার সাথে চেয়ারম্যানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটা নিতান্তই প্রতারক জিতেন এবং পাওনাদারদের ব্যাপার। চেয়ারম্যানতো এসেছেন অনেক পরে। চেয়ারম্যানই জিতেনকে মুক্ত করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে জিতেনের ভয়ংকর এই হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে দাংগা বাঁধানোর প্রচেষ্টার নাটক নিয়ে।

উপমহাদেশে হিন্দু মুসলিম দাংগা নতুন কিছু নয়। নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সেই হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে অপব্যবহার করে জিতেন গণমাধ্যমের কাভারেজসহ সারাদেশে বেশে সহানুভূতি অর্জন করে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোককে পেটাচ্ছে মুসলমান চেয়ারম্যান। নিজেই নিজেদের সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে গাছে বেঁধে পেটানোর নাটক তৈরীতে সফলতা পায়। সাথে সাথে  সেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে পুলিশ এ্যারেষ্টও করে। ঘটনার সত্যতা না জেনে অনেক নেতাও  তাকে  দেখতে আসেন।

এ ঘটনার পর মিথ্যামামলার শিকার  আরেক জন ইন্দ্রজিত চৌধূরী লিউ’র স্ত্রী সুর্বণা সহ আরো দুই হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূক্তভোগী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সামগ্রিক সত্যঘটনা ঘটনা তুলে ধরে এবং জিতেনের অব্যাহত হুমকী ধামকির প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

প্রশ্ন উঠেছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগের ইমেজ ধ্বংস করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৪০টি ঘর বাবদ লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার ্অধিকার জিতেন পেলো কোথায়? শুধু বহি:ষ্কার করলেই কি চিটার জিতেন পার পেয়ে যাবে?

জিতেনেরই ঘনিষ্ট একজন নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, মিথ্যা বানোয়াট মামলায় চেয়ারম্যান পুত্রসহ জামিনে মুক্ত হলেও ইন্দ্রজিত সহ এজাহারভূক্ত ১৭ জন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদেরকে প্রকাশ্যে হুমকী দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে গাছে বেঁধে মারার সাজানো ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বাদী চিটার জিতেনের কনিষ্ঠভ্রাতা তাপস কান্তি গুহ প্রতিবারই আদালতে জিতেনকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে সহানুভূতি নেয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রকাশ্যেই জিতেন বলে বেড়ায়  যে এই মামলায় বিএম জসিম, ইন্দ্রজিতসহ তার সকল প্রতিপক্ষকে সে জানে মারতে না পারলেও জেলের  ভাত খাইয়ে ছাড়বে।

অত্যন্ত ধুরন্ধর  এই জিতেন ওরফে চিটার জিতেনের সম্পর্কে সরেজমিন জানতে গিয়ে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, স্থানীয় একটি স্কুল কমিটিতে থাকাকালীন ৫ লাখ টাকার জমি ক্রয়ের ছুঁতোয় স্কুল ফান্ডের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত তাকে কমিটি থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বহি:ষ্কার করা হয়।

একটি সুত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যাংকিং জালিয়াতির বিষয়ে  দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড অর্থঋণ আদালত ২০০৩ এর ১২(৩)ধারা মোতাবেক জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠে নিলাম দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে  ঋনের বিপরীতে থাকা পটিয়া উপজেলা ভূমি রেজিষ্টি অফিসের আওতাধীন জমির পরিমাণ যেমনি কম তেমনি ওইসব জমির মালিকানা স্বত্ব  নিয়েও রয়েছে বির্তক। বলা হচ্ছে এসব সম্পত্তি ছলে বলে কৌশলে চিটার জিতেন হাতিয়ে নিয়ে মালিক বনে গেছে। অত:পর  কতিপয় ব্যাংক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নিয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে এই প্রতিবেদক কয়েকদিন ধরে জিতেনের একাধিক নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার একটি  নাম্বার বন্ধ এবং অন্যটিতে কোন কল রিসিভ করেননি।

ভূক্তভোগী, সংশ্লিষ্ট এলাবাসী এবং ওয়াকিবহাল মহলের মতে আওয়ামীলীগের  ইমেজক্ষুন্নকারী প্রতারক জিতেন কান্তি গুহ যে কোন সময় আরো ভয়ংকর কিছু ঘটিয়ে আবারো বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। তার সীমাহীন  দূর্নীতির তদন্তপূর্বক আইনানুগ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিসহ ভারতে পাঁচার করা কোটি কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে এবং বাংলাদেশে থাকা সমুদয় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে অবিলম্বে  ভূক্তভোগী নিরীহ পাওনাদারদের পাওনা মিটিয়ে দেয়া সময়ের দাবী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ