মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনজাহাজটি কীভাবে উদ্ধার করা যায় সে বিষয়ে চলছে নানা পরিকল্পনা

জাহাজটি কীভাবে উদ্ধার করা যায় সে বিষয়ে চলছে নানা পরিকল্পনা

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে আটকা পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। জাহাজটি কীভাবে উদ্ধার করা যায় সে বিষয়ে চলছে নানা পরিকল্পনা। তবে এখনো কোনো সুরাহা মেলেনি বলে জানা গেছে।

যদিও এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে জাহাজটির মালিক কবির স্টিল রোলিং মিলসের (কেএসআরএম) সঙ্গে। এই কোম্পানির একটি জাহাজ (এমভি জাহানমণি) ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার ২৬ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ১০০ দিন পর তাদের মুক্ত করে এনেছিল কোম্পানি। ফলে এবারও পূর্বের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় কবির গ্রুপ।

কবির গ্রুপের মিডিয়া অফিসার মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত নাবিক বা জাহাজ উদ্ধারের জন্য আলোচনা শুরু করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, জাহাজ ছিনতাই করার পর জলদস্যুরা সাধারণত কোনো যোগাযোগ করার আগে বা মুক্তিপণ দাবি করার আগে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তবে কর্মকর্তারা আজ সকালে কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন এবং ক্রুরা নিরাপদ এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুরা এখন জাহাজটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তারা সোমালিয়া উপকূলের দিকে যাচ্ছে। উপকূলে পৌঁছাতে আরও একদিন সময় লাগবে হয়তো।

মিজানুল বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক জাহাজের বিমাকারী সংস্থা ইতোমধ্যে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ