পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণের ক্ষমতা, জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কাজেই জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা ও আত্ম-সামাজিক উন্নয়ন এবং ভাগ্য পরিবর্তন করা, সেটাই আমাদের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকার গঠন করার পর আমরা সরকারে আছি। সেহেতু একটা স্থিতিশীল পরিবেশ ও গণতন্ত্র বিরাজ করছে। কাজেই, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর যে হামলা এবং গণহত্যা চলছে, সেটা নিয়ে বিশ্ব দরবারে প্রতিবাদ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও হত্যা এর মতো জঘন্য মানবতাবিরোধী কাজ আর হতে পারে না। রাশিয়া-ইউক্রেন ও গাজায় যে যুদ্ধ চলছে, তার প্রভাবটা কিন্তু সারা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর পড়ছে। আমাদের ওপরও কিন্তু সেই ধাক্কাটা আসছে। যদিও আমাদের চেষ্টা হচ্ছে, কিভাবে আমরা এটা মোকাবিলা করবো।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরাধের ধরনও কিন্তু ভিন্ন ভিন্নভাবে হচ্ছে৷ নতুন নতুন মাত্রার অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে৷ সে বিষয়ে সরকারও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে৷ নতুন নতুন ক্রাইমের সঙ্গে তা মোকাবিলার সিস্টেমটা যদি সমান্তরালভাবে না চলে, তাহলে সেটা যথাযথভাবে করা যায় না। বাহিনীকে সেই সক্ষমতা অর্জন করতে হবে৷
পুলিশ বাহিনী এখন সাধারণ মানুষের মনে ভয় নয়, বন্ধু বা আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে৷ মানুষের আস্থার জায়গাটা আরও বাড়াতে হবে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন হওয়ায়, বিশ্ব আর বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে না। বাংলাদেশ বিশ্বে একটা স্থান করে নিতে পেরেছে। এখন উন্নয়নের মডেল হিসেবে দেখে। সেই ভাবমূর্তিটা ধরে রেখে, আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।