শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন : ভূমিমন্ত্রী

ভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন : ভূমিমন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন ভূমি বিষয়ক বিবিধ আইন ও বিধিমালা সংস্কার হচ্ছে। এই সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইংরেজিতে থাকা ভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন ও বিধিবিধান বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আজ রাজধানীর এক হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা, স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এই কথা বলেন।

উল্লেখ্য, The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ নামে বাংলায় ভাষান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া Land Reforms Ordinance,1984 রহিত করে নতুনভাবে ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩ নামে বাংলায় প্রনয়ন করা হয়েছে। অন্যান্য যেসব আইন ও বিধিমালা এখনো ইংরেজিতে আছে তা বাংলা ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সংসদ সদস্য সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ, রাজউকের চেয়ারম্যান মো: আনিছুর রহমান মিঞা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিজিএমইএ-র সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ দীদার বখত প্রমুখ।

ভূমিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের পর প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, জাতীয় চার নেতা-সহ জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ও ভাষা শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ভূমিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে হঠাৎ শুরু হয়নি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে ২০ বছরেরও অধিক সময় জুড়ে বিভিন্ন নায্য অধিকার আদায়ের জন্য করা লড়াইয়ের চূড়ান্ত পরিণতি। আমাদের বাংলা ভাষা আন্দোলন এমনই এক লড়াইয়ের নাম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ যখন উর্দুকে তৎকালীন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করে গণপরিষদে প্রস্তাব পাস করা হলো তখন থেকেই মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াই শুরু। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। বাংলা ভাষার দাবী পরিণত হয় সংগঠিত আন্দোলনে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারী করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউর সহ আরও অনেকে শহিদ হন।

ভূমীমন্ত্রী বলেন, মহান একুশে ফেব্রয়ারির সেই গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ সারা বিশ্বের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে মহান একুশে ফেব্রয়ারি আজ সারাবিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস।

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত হন বঙ্গবন্ধু। দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে যেসব সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করেন তা শেষ করার মতো যথেষ্ট সময় তিনি পাননি। জাতির পিতার দূরদর্শী কন্যার নেতৃত্বে সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন এখন বাস্তবের পথে।  প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও একুশের চেতনা ধারণ করে আমাদের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা গড়ে তোলায় একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ