সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপযেসব আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

যেসব আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে একটি বাদে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে মোট ২৯৮ আসনের ফলাফল। সেই ফলাফলে ২২২ আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে সব মিলিয়ে ৬২টি আসনে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যারা

ঢাকা বিভাগ
ঢাকা-৪ (সূত্রাপুর-ডেমরার একাংশ) মো. আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ (ডেমরার একাংশ-মতিঝিলের একাংশ) মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা-১৮ (উত্তরার একাংশ-ক্যান্টনমেন্টের একাংশ-গুলশানের একাংশ) মো. খসরু চৌধুরী, ঢাকা-১৯ (সাভার) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
গাজীপুর-৫ আখতারুজ্জামান
নরসিংদী-৩ (শিবপুর) সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
টাঙ্গাইল-৩ আমানুর রহমান খান, টাঙ্গাইল-৪ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) সোহরাব উদ্দিন
মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ, মানিকগঞ্জ-২ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু
মুন্সিগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া) মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব।
মাদারীপুর-৩ তাহমিনা বেগম।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আব্দুল কাদের আজাদ, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন-সদরপুর) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আব্দুল মোতালেব এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) মুজিবুর রহমান।
কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে এমএ জাহের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান, (নৌকা),ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. মঈনুদ্দিন মঈন
লক্ষ্মীপুর-৪ মো. আবদুল্লাহ

খুলনা বিভাগ
যশোর-৫ মো. ইয়াকুব আলী, যশোর-৬ মো. আজিজুল ইসলাম।
কুষ্টিয়া-১ মো. রেজাউল হক চৌধুরী, কুষ্টিয়া-২ মো. কামারুল আরেফিন, কুষ্টিয়া-৪ আবদুর রউফ।
ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী

রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী-২ শফিকুর রহমান বাদশা
বগুড়া-৩ খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ আল মেহেদী
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ
নওগাঁ-৪ (মান্দা) এসএম ব্রহানী সুলতান মামুদ, নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) ওমর ফারুক সুমন।

বরিশাল বিভাগ
বরিশাল-৪ পঙ্কজ নাথ
পিরোজপুর-২ মো. মহিউদ্দীন মহারাজ, পিরোজপুর-৩ মো. শামীম শাহনেওয়াজ।
বরগুনা-১ গোলাম সরোয়ার টুকু

সিলেট বিভাগ
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আল্লামা হুছামউদ্দীন চৌধুরী
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) ড. জয়া সেনগুপ্তা

রংপুর বিভাগ
রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান, রংপুর-৫ মো. জাকির হোসেন সরকার।
দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) জাকারিয়া জাকা
নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) সাদ্দাম হোসেন পাভেল, নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ) সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, গাইবান্ধা-২ (সদর) শাহ সারোয়ার কবির
কুড়িগ্রাম-২ ডা. মো. হামিদুল হক খন্দকার

ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহ-১ মাহমুদুল হক সায়েম, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৬ আব্দুল মালেক সরকার, ময়মনসিংহ-৭ আসনে এবিএম আনিসুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদ হাসান সুমন, ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ।
শেরপুর-১ (সদর) মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আব্দুর রশিদ
নেত্রকোণা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু

গতকাল (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেলে ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এরপর শুরু হয় ভোটগণনা। কেন্দ্র-কেন্দ্র থেকে আসতে থাকে ফলাফল। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ঘোষাণা করেন বেসরকারি ফলাফল।

বেসকারিভাবে ঘোষিত ২৯৮টি ফলের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৮টি দলের ২৩টিরই কোনো প্রার্থী পাস করতে পারেননি। আর যে পাঁচটি দল থেকে প্রার্থীরা পাস করেছেন, সেই দলগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি ও কল্যাণ পার্টি। যদিও বিজয়ীর তালিকায় আসেন আওয়ামী লীগ থেকে ২২২ জন, জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের ১১ জন, মহাজোট মনোনীত জাসদ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে একজন ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির একজন, কল্যাণ পার্টির একজন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ট্রাক প্রতীকে ২৫টি, ঈগল প্রতীকে ২৩টি, ঢেঁকি প্রতীকে একটি, কলার ছড়ি প্রতীকে তিনটি, কেটলি প্রতীকে পাঁচটি ও কাঁচি প্রতীকে পাঁচটি আসনে জয় পান। সব মিলিয়ে ৬২টি আসনে চমক দেখান স্বতন্ত্রের এই প্রার্থীরা।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৮টি দলের মধ্যে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি আসনে, ইসলামী ঐক্যজোট ৪২টি আসনে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩০টি আসনে, গণফোরাম ৯টি আসনে, গণফ্রন্ট ২১টি আসনে, জাকের পার্টি ২১টি আসনে, জাতীয় পার্টি ২৬৫টি আসনে, জাতীয় পার্টি-জেপি ১৩টি আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬টি আসনে, তৃণমূল বিএনপি ১৩৫টি আসনে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ১২২টি আসনে, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১০টি আসনে, আওয়ামী লীগ ২৬৬টি আসনে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি আসনে, বাংলাদেশ কংগ্রেস ৯৬টি আসনে, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৬টি আসনে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১১টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৫টি আসনে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ৫৬টি আসনে, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩৮টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ৫টি আসনে, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট ৪৫টি আসনে, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪টি আসনে, সুপ্রিম পার্টি ৭৯টি আসনে, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৬৩টি আসনে, ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬টি আসনে, সাম্যবাদী দল ৪টি আসনে ও গণতন্ত্রী পার্টি ১০টি আসনে প্রার্থী দেয়। আর স্বতন্ত্র ৪৩৬ জনসহ নির্বাচনে ১ হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী অংশ নেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪৪টি। এর মধ্যে বিএনপিসহ ১৬টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ