শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদটপনৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন : শেখ হাসিনা

নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন : শেখ হাসিনা

ভোটের আগে শেষবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আরো একবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি টানা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি বলেছেন, চলার পথে যদি কোন ভুল–ভ্রান্তি করে থাকি, তাহলে আপনারা ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন– এটাই আমার আবেদন। আবার সরকার গঠন করতে পারলে, ভুলগুলি শোধরাবার সুযোগ পাব। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।

৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঘিরে ইতোমধ্যে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি, যারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দফায় দফায় বিএনপির হরতাল অবরোধে প্রায় তিনশ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, ঝরে গেছে অন্তত আধা ডজন প্রাণ। তারপরও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা রেখে শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন যোগাবেন না। জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ভাষণ  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় সমপ্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনে সমপ্রচার করা হয়। তার সামনে টেবিলে একপাশে ছিল আওয়ামী লীগের দলীয় পাতাকা, অন্য পাশে ছিল দলীয় নির্বাচনি প্রতীক নৌকার ছবি।

চার মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ দেশের কী কী উন্নয়ন করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ শেখ হাসিনা তার ভাষণে তুলে ধরেন। বিএনপি–জামায়াত জোট কীভাবে বার বার দেশের উন্নয়নকে ‘বাধাগ্রস্ত’ করেছে, সেই বিবরণও দেন।

গত ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নিবাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে’ উত্তরণের প্রতিশ্রুতি দেন শেখ হাসিনা। সেই প্রতিশ্রুতি তিনি কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, তার একটি রূপরেখা তিনি তুলে ধরেন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হাজির হয়েছি। এই উন্নয়নকে টেকসই করা, আপনাদের জীবন মান উন্নত করা, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ক্ষুধা–দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দারিদ্র্য হ্রাস, ভূমিহীন–গৃহহীন পরিবারগুলির ঘরবাড়ি ও জীবন জীবিকার স্থায়ী ব্যবস্থা করা, যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থায় আজকের শিশু এবং তরুণদের সুশিক্ষিত করা, স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করা, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি–বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, প্রতি উপজেলায় কারিগরি ও কম্পিউটার ট্রেনিং এর যে সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে, তা সম্পন্ন করা, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন কর্মক্ষেত্র খুঁজে বের করা, গ্রামের মানুষের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা, রাস্তাঘাট উন্নত করা, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের যে ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে– তা টেকসই করে সকল মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

আপনাদের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হয়ে আরেকটিবার সরকার গঠন করতে পারলে আমাদের গৃহীত কর্মসূচিগুলি বাস্তবায়ন করে আপনাদের জীবনমান আরও উন্নত করার সুযোগ পাব। ভোটে নির্বাচিত হয়ে আরো একবার সরকার গঠনের সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগ নদী, খাল, পুকুর, জলাধার খনন, ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ, বনায়ন সৃষ্টি, উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করে সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে দেশের জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার করেন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ