বুধবার, মে ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে এ রায় দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার এজলাস। এর আগে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু করেন তিনি।

আদালতে উপস্থিত রয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী অ্যাক্টিভিস্ট রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এর আগে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের নামে এ মামলা করা হয়। গত ১৬ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। এর আগে, গত ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান।

মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান। সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ