শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিস্বতন্ত্র প্রার্থী চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে দলের হেভিওয়েটসহ অনেক প্রার্থীকে

স্বতন্ত্র প্রার্থী চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে দলের হেভিওয়েটসহ অনেক প্রার্থীকে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভোটে অংশগ্রহণ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে দলের হেভিওয়েটসহ অনেক প্রার্থীকে। ক্ষমতাসীনরা শরিক ও মিত্রদের জন্য কিছু আসনে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিলেও রয়ে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এসব আসনেও ঘুম হারাম হয়ে যেতে পারে প্রার্থীদের। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে সংসদ সদস্য হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কৌশলে বেকায়দায় পড়তে পারে আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিক ও মিত্ররা।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিবৃত্ত করার মূল দাবি ক্ষমতাসীনরা মেনে না নেওয়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন জমে উঠবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। শরিক ও মিত্রদের জন্য বিভিন্ন আসনে নৌকার প্রার্থী সরিয়ে নেওয়ার পরও এসব এলাকায় সংশ্লিষ্ট দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই সাংগঠনিকভাবে সুসংগঠিত হওয়ায় নির্বাচনে মূল লড়াই হবে স্বতন্ত্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের প্রার্থীদের।

জানা গেছে, শরিক ও মিত্রদের শত অনুরোধ সত্ত্বেও নির্বাচনী আমেজ ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই মূলত প্রতিটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। স্বতন্ত্রদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে নিজ দলের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রভাবশালী নেতাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন শেখ হাসিনা। ফলে বেশিরভাগ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে অন্তত ১৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকেও।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের আসনে শক্তিশালী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার সঙ্গে জমজমাট নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দুই চাচাতো ভাইয়ের মধ্য লড়াই জমে উঠতে পারে। নৌকার প্রার্থীর সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে নির্বাচন জমে উঠতে পারে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায়ের মধ্যে।

দিনাজপুরের ছয়টি আসনে অন্তত দুটি আসনে স্বতন্ত্রদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। এর মধ্যে দিনাজপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ কাঞ্চন এবং দিনাজপুর-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আজিজুল হক চৌধুরীর তীব্র লড়াই হতে পারে।

নীলফামারীতে প্রায় প্রতিটি আসনেই লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, নীলফামারী-১-এ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকারের সঙ্গে বিএনএমের জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের। নীলফামারী-৩ ও ৪ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকায় এসব স্থানে জাতীয় পার্টির রানা মোহাম্মদ সোহেলের সঙ্গে স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থীর স্ত্রী মারজিয়া সুলতানা ও আবু সাঈদ শামীমের নির্বাচনী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নীলফামারী-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিনের ভোটযুদ্ধ জমে উঠতে পারে।

লালমনিরহাট-১-এ নৌকার মোতাহার হোসেনের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমানের জমজমাট নির্বাচনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। লালমনিরহাট-২-এ নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর পরিচালক সিরাজুল হক এবং লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমানের সঙ্গে জাবেদ হোসেন বকরের তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, রংপুর-২ আসনে ক্ষমতাসীনদের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কামাল মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার বিটু, রংপুর-৫ আসনে নৌকার রাশেক রহমানের সঙ্গে সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকারের ভোটের লড়াই জমে উঠবে।

কুড়িগ্রামের দুটি আসনের মধ্যে কুড়িগ্রাম-৩-এ আওয়ামী লীগের সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আব্দুস সোবহান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. আককাছ আলী সরকার এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকার বিপ্লব হাসানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ও এ কে এম সাইফুর রহমানের ত্রিমুখী লড়াই হবে।

গাইবান্ধা-১ আসনে জাপার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকার মনোনীত, পরে প্রত্যাহার করা আফরুজা বারীর মেয়ে নাহিদ নিগারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। একইভাবে গাইবান্ধা-২ আসনে জাপার আব্দুর রশিদ সরকারের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর, গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর তীব্র লড়াই হতে পারে।

বগুড়ার ৭টি আসনের মধ্যে বগুড়া-৫ ছাড়া প্রায় প্রতিটি আসনেই তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বগুড়া-১-এ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নানের এবং বগুড়া-৬-এ বর্তমান এমপি রাগেবুল আহসান রিপুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানের লড়াই জমে উঠতে পারে। বগুড়া-৪ আসনে জাসদ থেকে নৌকার প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম) তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনটি আসনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সাবেক এমপি গোলাম রব্বানীর ভোটযুদ্ধ জমে উঠবে।

নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে নওগাঁ-১, ৪, ৫ ও ৬ আসনে লড়াই জমবে। তবে নওগাঁ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন জলিল জনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের লড়াই নিয়ে এখনই শুরু হয়েছে আলোচনা। অন্যদিকে, নওগাঁ-১ আসনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান তোতার।

রাজশাহীতে ৬টি আসনের মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া মাহি ও সাবেক এমপি গোলাম রব্বানীর মধ্যে।

রাজশাহী-২ আসনে বাদশার সঙ্গে বাদশার লড়াই জমে উঠবে। ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হলেও মহানগর আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান বাদশার মুখোমুখি হতে হবে। রাজশাহী-৪ আসনে তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এখানে নৌকার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও রাজশাহী-৬ আসনে বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক।

নাটোরে চারটি আসনেই হবে তীব্র লড়াই। নাটোর-১-এ বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কালাম, নাটোর-২ আসনে বর্তমান এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, নাটোর-৩ আসনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক এবং নাটোর-৪ আসনে বর্তমান এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর সঙ্গে তীব্র লড়াইয় হবে সাবেক এমপির ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন শোভনের।

সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আব্দুল মমিন মণ্ডলের নৌকার বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসে ঈগল ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে চয়ন ইসলামের সঙ্গে সাবেক পৌর মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মীরুর লড়াই তীব্র হবে।

মেহেরপুরের দুটি আসনের মধ্য তীব্র ভোটযুদ্ধ হবে মেহেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের আবু সালেহ মো. নাজমুল হক সাগরের সঙ্গে সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের।

কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী মাহবুবউল-আলম হানিফ এবার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু। অন্যদিকে কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন মিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনকে। এ ছাড়া কুষ্টিয়া-৪ আসনের বর্তমান এমপি সেলিম আলতাফ জর্জের সঙ্গে লড়বেন সাবেক এমপি আবদুর রউফ।

ঝিনাইদহ চারটি আসনের মধ্যে ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের নৌকা প্রতীকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের ট্রাক প্রতীকের তীব্র লড়াই হতে পারে।

ঝিনাইদহ-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত তাহজীব আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, ঝিনাইদহ-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আজম খান চঞ্চল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজীর ত্রিমুখী লড়াই সবার মুখে মুখে।

যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ আফিল উদ্দিনের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের তৌহিদুজ্জামান তুহিনের বিপক্ষে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের স্বপন ভট্টাচার্য্যের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী।

এদিকে বাগেরহাট-৩ আসনেও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী ইজারাদার।

সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির চাঁদপুর-৩ আসনে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি শামসুল হক ভূঁইয়া। পিরোজপুর-১ আসনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল আউয়াল। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।

নরসিংদী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

বরিশাল-৫ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এখানে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গে তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

গাজীপুর-১ আসনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে লড়ছেন দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।

গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন শক্তিশালী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম।

জামালপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের বিরুদ্ধে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন সাজাহান আলী মণ্ডল ও জিয়াউল হক।

নেত্রকোনা-২ আসনে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সাবেক উপমন্ত্রী ফুটবলার আরিফ খান জয়।

ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি তৌহিদ জং মুরাদ।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মোকাবিলা করছেন দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীনকে।

শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর ছেলে খালেদ শওকত আলী।

সারা বছর বাগযুদ্ধে সরব ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে আবারও মুখোমুখি হয়েছেন এই দুজন।

মাদারীপুর-৩ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান ওরফে গোলাপের বিরুদ্ধে লড়বেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম কালবেলাকে বলেন, সবাইকে নির্বাচনী বিধিমালা মেনে চলতে হবে। নির্বাচনী আমেজ বজায় রেখে উৎসাহ-উদ্দীপনা সহকারে ভোটে অংশ নেবে সবাই। প্রতিযোগিতা থাকবে, সেটা যেন প্রতিহিংসায় রূপ না নেয়।

এ ছাড়া খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মোস্তফা রশীদী সুজার ভাই মোর্তজা রশীদী দারার জমজমাট লড়াই হতে পারে। সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সঙ্গে বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহর তুমুল লড়াই হতে পারে। সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবির লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। বরগুনা-১ আসনের কয়েকবারের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান ও গোলাম সরোয়ার টুকুর লড়াই জমে উঠতে পারে। পটুয়াখালী-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মহিববুর রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারে ভোটযুদ্ধ জমে উঠবে।

টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের ছোট মনিরের কঠিন প্রতিপক্ষ গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, টাঙ্গাইল-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানার শক্ত প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ আসনে কঠিন ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর।

জামালপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে বর্তমান এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের লাড়াই হবে। ময়মনসিংহ-১ আসনে জুয়েল আরেংয়ের নৌকার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েমের, ময়মনসিংহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নিলুফার আনজুম পপির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা, ময়মনসিংহ-৪ আসনে নৌকার মোহিত উর রহমান শান্তর সঙ্গে স্বতন্ত্র আমিনুল হক শামীম, ময়মনসিংহ-৯ আসনে বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালামের লড়াই জমজমাট হবে।

নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশীর যে কেউ জিততে পারেন। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাংলাদশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের দুই সন্তান ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির সঙ্গে তার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ঈগল নিয়ে নির্বাচন করছেন। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবদুল কাহার আকন্দর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান এমপি আফজাল হোসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পালের ভোটযুদ্ধ জমে উঠতে পারে।

মানিকগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুলের। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিকল্পধারার প্রার্থী মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর লড়াই হবে। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে মৃণাল কান্তি দাসকে বিপদে ফেলতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব।

ঢাকা-১ আসনে জমজমাট লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। কারণ এই আসনে প্রার্থী জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

ঢাকা-৫ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান, মশিউর রহমান মোল্লা সজল ও আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদ মুন্নার মধ্য।

গাজীপুর-৩ আসনে বর্তমান এমপি ইকবাল হোসেন সবুজের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রুমানা আলী টুসির লড়াই জমে উঠবে, গাজীপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মেহের আফরোজ চুমকির।

নরসিংদী-১ বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামানের মধ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, নরসিংদী-৩ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য রবিউল আউয়াল খান কিরণের ছেলে ফজলে রাব্বি খানের সঙ্গে লড়াই হবে বর্তমান সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার লড়াই হবে।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে লড়তে হবে আওয়ামী লীগের রণজিত চন্দ্র সরকারকে, সুনামগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদের কঠিন প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা।

সিলেট-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলি, কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি সেলিমা আহমাদ মেরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৪ আসনে বর্তমান এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-৬ আসনে বর্তমান এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারে বিরুদ্ধে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আফজাল খানের মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংরক্ষিত আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১২ আসনে নৌকার মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ