কক্সবাজারের রামুর ঈদগড়ে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে। নিহত নুরুল আজিমের স্থানীয় কোনাপাড়া গ্রামে। মৃতদেহ ২ দিন লুকিয়ে রাখার পর রবিবার দুপুরে পুলিশ তা উদ্ধার করেছে চাইল্যাতলি অংগারা ঝিরি থেকে। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ রোহিঙ্গা নারী-পূরুষকে আটক করেছে।
জানা গেছে, ৩১ মে শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় কোনারপাড়া গ্রামের আবু ছৈয়দের ছেলে নুরুল আজিমকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হামিদ হোছনসহ তিন রোহিঙ্গা মিলে খুন করে তার গলাকাটা লাশ পাহাড়ের ঝিরিতে লুকিয়ে রাখে।
রবিবার সকালে রোহিঙ্গা হামিদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে অকপটে হত্যার দায় স্বীকার করে লাশ দেখিয়ে দেন। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে রামু থানা পুলিশ লাশ রবিবার বিকালে উদ্ধার করে। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয় , হামিদ হোছেন (২৫), মো. সলিম (৩০), মরিয়ম খাতুন (২০) ও জুবায়ের (২৮)কে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ মুকসেদুল মুবিন জানান, রবিবার সন্ধ্যায় লাশের ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনয় রামু থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামে কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নবগঠিত সদরঘাট থানার আলকরণ এলাকায় এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে ডেকে নিয়ে দুর্বৃত্তরা এ হত্যার ঘটনা ঘটায়।
নিহত কলেজ ছাত্র হলেন রিটু ঘোষ (২৫)। তিনি নগরীর আলকরণ এলাকার দোভাষ কলোনির অধীর ঘোষের পুত্র। রিটু চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া সরকারী কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
রিটুর বন্ধু হুমায়ুন জানান, শনিবার রাতে রিটু তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোনিয়া ফার্মেসিতে ছিলেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবক রিটুকে ডেকে নিয়ে তার ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত নায়েক বাশার জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় রিটুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী হত্যাকান্ডের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ হত্যাকান্ডের এখনো পর্যন্ত কোনো কারণ খুঁজে পায়নি। তবে তদন্ত করে দেখছি।’